এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে পৃথকভাবে মতবিনিময় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই সভা।
ধারাবাহিক বৈঠকের শেষ পর্বে ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তারেক রহমান যখন নিজের মা খালেদা জিয়ার ত্যাগের কথা বলেন তখন উপস্থিত নেতাদের মধ্যে কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
সভায় প্রত্যেক বিভাগের নেতাদের নির্বাচনী পরিস্থিতি, ঐক্য রক্ষা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান বলেন, আমার মা মৃত্যুর মুখোমুখি ছিল। ইচ্ছে করলে মাকে নিয়ে আসতে পারতাম। কিন্তু মা তো আপনাদের ছেড়ে আসেননি। ছয়বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও মা আপনাদের ত্যাগ করেননি। যিনি আপনাদের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সেই মাকে সামনে রেখে আপনারা এক থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আমার মাকে ৪০ বছরের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। মা তার সন্তানকেও হারিয়েছেন। কিন্তু সেই মা কখনও আপস করেননি। কারণ, তার লক্ষ্য ছিল একটি ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা। ইচ্ছে করলে মা আপোষ করতে পারতেন, তবুও করেননি। কারণ, মা জানতেন—এই আপোষ জনগণকে দূরে সরিয়ে দেবে।
একপর্যায়ে তারেক রহমান এক আদালতের ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন, দুই মায়ের মধ্যে এক সন্তানের দাবিতে বিচারক বলেছিলেন, সন্তানকে দুই ভাগ করে দেবেন। তখন আসল মা বলেছিলেন, সন্তানকে ভাগ করবেন না, অন্যজনকেই দিন—আমি দূর থেকে দেখব। আসল মা তিনিই, যিনি সন্তানের ক্ষতি হতে দেননি। আমি চাই আপনারা সেই আসল মায়ের মতো হোন। ঐক্যের স্বার্থে ত্যাগ শিখুন। একজন প্রার্থীকে সবাই সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করুন। ঐক্যবদ্ধ থাকুন, তাহলেই বিএনপি এগিয়ে যাবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, তারেক রহমানের বক্তব্য ছিল অসাধারণ। পুরো হলে এক ধরনের নীরবতা নেমে এসেছিল। তিনি যখন মা ও দলের ঐক্যের কথা বলছিলেন, তখন আমরা কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। আমরা তাকে আশ্বস্ত করেছি—দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।
এর আগে, গত রোববার রংপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তারেক রহমান।