এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় অন্তর মুনাফা পেতে চান? তাহলে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম ‘তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র’ হতে পারে আপনার জন্য নির্ভরযোগ্য বিকল্প। ১৯৯৮ সালে চালুর পর থেকে এটি দেশের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত সঞ্চয়কারীদের কাছে নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে।
মেয়াদ ও মুনাফা
.এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৩ বছর, এবং প্রতি তিন মাস অন্তর নির্দিষ্ট হারে মুনাফা প্রদান করা হয়।
মেয়াদপূর্তিতে মুনাফার হার নির্ধারিত হয়েছে
.সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে: ১১.৮২%
.সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে: ১১.৭৭%
.তবে তিন বছরের আগেই সঞ্চয়পত্র ভাঙালে মুনাফার হার কমে যায়, আর এক বছরের মধ্যে ভাঙালে কোনো মুনাফা পাওয়া যায় না।
উৎসে কর (TDS)
.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ৫%
.৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে কর ১০%
বিনিয়োগ করতে পারবেন যারা
বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকের পাশাপাশি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে—
স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল,
.নিবন্ধিত খামার (মৎস্য, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু, দুগ্ধ, বীজ উৎপাদন ইত্যাদি),
.অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা ও সহায়ক সংগঠন,
.অনাথ ও দুস্থ শিশুদের নিবন্ধিত আশ্রয় প্রতিষ্ঠান,
.প্রবীণদের নিবন্ধিত আশ্রয়কেন্দ্র।
বিনিয়োগের সীমা
একক নামে: সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা
যৌথ নামে: সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা
প্রতিষ্ঠান (ভবিষ্য তহবিল): মোট স্থিতির ৫০% পর্যন্ত, সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা
ফার্ম: সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা
অটিস্টিক ও আশ্রয় প্রতিষ্ঠান: সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা
অতিরিক্ত সুবিধা
.প্রতি তিন মাসে মুনাফা গ্রহণের সুযোগ
.নমিনি নিয়োগের সুবিধা
.সঞ্চয়পত্রের মালিক মৃত্যুবরণ করলে নমিনি তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ উত্তোলন বা মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত মুনাফা গ্রহণ করতে পারবেন
কোথায় পাওয়া যাবে
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অফিস, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা বা ভাঙানো যায়। সঞ্চয়পত্রের মূল্যমান রয়েছে চার ধাপে ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা।
সারসংক্ষেপে, ব্যাংকের সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের তুলনায় এই সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার অনেক বেশি। যারা নিরাপদ ও নিয়মিত আয়ের উৎস খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি স্থিতিশীল ও লাভজনক বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।