নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনা: মির্জা ফখরুল

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন প্রসঙ্গে সতর্ক করে বলেন,“নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনা। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।”

আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ড আয়োজন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, “একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলিয়ে দিতে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যারা সেই যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগী ছিল, তারা আজ আবারও দেশের স্বাধীনতাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোকে মুছে দিতে চাওয়া হচ্ছে— কিন্তু সেই ইতিহাস কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা বুকের ভেতর মুক্তিযুদ্ধকে বয়ে বেড়াচ্ছি, এটা আমাদের অস্তিত্বের অংশ, এখান থেকে বেরিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।”

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন,“যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মা-বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল, হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যায় সহযোগিতা করেছিল, তাদের সাথে কোনো আপোষ হতে পারে না। এরা বারবার মুখ বদলে সামনে আসছে, দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়।”

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন,“নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনা। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।”

সভায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ড আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সাদেক আহম্মদ খান, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী সহ জেলার বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান অবস্থা, তাঁদের অধিকার সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও জেলার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সকলের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলাপচারিতা অনুষ্ঠিত হয়।