বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:২০:২৪

এক খবরেই দাম কমা শুরু পেঁয়াজের!

এক খবরেই দাম কমা শুরু পেঁয়াজের!

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আমদানির খবরে চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। তিনদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। চট্টগ্রামে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণায় পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে আগের অবস্থাই বিরাজ করছে। খবর স্টাফ রিপোর্টারদের। 

দিনাজপুরে প্রকারভেদে ৯০ টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এদিকে, দাম কমতে শুরু করায় খুশি সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা।

রবিবার সকালে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে জানা যায়, গত তিনদিন আগে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৯০ টাকা দরে। তখন খুচরা বিক্রি হচ্ছিল ১০০ টাকা কেজি হিসেবে। বর্তমান দর কমে পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

শহরের রেল বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শাহিদ জামিল নামে একজন বলেন, কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বেড়েছে। এখন দাম কমের দিকে। তবে, ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি হলে ভাল হয়। গুদরি বাজারের ব্যবসায়ী জুয়েল ইসলাম বলেন, আমরা আজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি করছি। ৮০ টাকা পাইকারি কেনা আছে। শহরের বাহাদুর বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কলিম উদ্দীন বলেন, তিনদিন আগে ৯০ টাকা কেজি দরে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলাম। আজ তা ৮০ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি বিক্রি করছি। বর্তমান মোকামে পেঁয়াজের দাম কমের দিকে। কম দামে পাচ্ছি, তাই কম দামে বিক্রি করছি। শুনছি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। মনে হয়, আমদানির খবরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম ॥ দেশে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১৩০ টাকা। এরই মধ্যে ভারত থেকে আমদানির ঘোষণায় পাইকারিতে কিছুটা দাম কমলেও খুচরা বাজারে আগের অবস্থাই বিরাজ করছে। এখনো ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়নি। তবে, দেশি পেঁয়াজের যোগান পর্যাপ্ত। এজন্য চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের প্রতিটি মোকামে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে, বিক্রিও ভালো। তবে, দাম বেশি হওয়ায় ভোক্তাপর্যায়ে চরম অস্বস্তি দেখা গেছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে।

রবিবার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে আকার ও মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০, ৯৫ এবং ১০০ টাকা দরে। এর আগে বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। তবে, এখনো পাইকারি পর্যায়ে ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০। আড়ত মালিকরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা কমেছে। আড়তে প্রচুর পেঁয়াজ। কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমতে পারে। তবে, খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে সময় লাগবে। কিছুদিন পরেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হবে।

চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজার, বক্সিরহাটের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে কমলেও পরিবহন ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে দাম কমানোর পরিস্থিতি এখনো আসেনি। বাজারে তিন থেকে চার গ্রেডের পেঁয়াজ মিলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। মাঝারি মানের পেঁয়াজ ১১৫, ১২০ ও বড়টা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের। তারা বলছেন, কয়েকদিন পরপর পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। একেকদিন একেক দর।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে