এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভূমিকম্পের কারণে সচিবালয়ে নতুন নির্মিত ১ নম্বর ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সচিবালয়ের পশ্চিম উত্তর প্রান্তে অবস্থিত এ ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অফিস করেন। ফাটলের কারণে এ ভবনে অফিস করা কোনো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন।
তবে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, এক নম্বর ভবনে ইটের নির্মিত ৫ ইঞ্চি দেওয়ালের কিছু কিছু স্থানে ফাটল ধরেছে। অন্য কয়েকটি ভবনেও এমন ফাটল রয়েছে। এটি ভবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। শিগগির এ ফাটল মেরামত করা হবে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল নরসিংদীতে। পরের দিন শনিবার রাজধানীতে আরও তিনটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১ নম্বর ভবনে গিয়ে কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা গেছে। ১০ তলায় ৯৩০ নম্বর কক্ষের দরজার নিচের দিকে উত্তর পাশের দেওয়ালে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে। এখানে পলেস্তরা অনেকটাই খসে গেছে।
একই সঙ্গে একতলা উপরে দশম তলায় ১০০ নম্বর কক্ষের সামনের দেওয়ালের মাঝামাঝি ফাটল দেখা গেছে।
এ দুটি তলায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করেন। একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমে বলেন, শত কোটি টাকায় নির্মিত এই নতুন ভবনে ফাটল অনেকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কারণ এটি চালু হওয়ার এক বছর পার হয়নি।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনতাসির মামুন গণমাধ্যমে বলেন, এক নম্বর ভবনের ফাটল আমরা দেখেছি। বিশেষজ্ঞরা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছেন। ইটের তৈরি ৫ ইঞ্চি পুরু দেওয়ালে এই ফাটলগুলো দেখা দিয়েছে। পিলারসহ ভবনের যে মূল স্ট্রাকচার সেখানে এমন কোনো ফাটল দেখা যায়নি। তাই যে ফাটলগুলো দেখা দিয়েছে, সেগুলো ভবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ৪৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ২০ তলাবিশিষ্ট এক নম্বর ভবন। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের মে মাসে এ ভবনের কার্যক্রম শুরু করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
‘সচিবালয়ে ২০ তলাবিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। ৪৬১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের আওতায় দুটি বেজমেন্টসহ ২০ তলা সুপার স্ট্রাকচার বিশিষ্ট অফিস ভবনের নির্মাণকাজ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়।