এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জামালপুরের ইসলামপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলের দিকে ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের মলমগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের হাড়িয়াবাড়ী এলাকার চান মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (২২), পাথর্শী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মিয়া (৪০), পাথর্শী ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মনির (৪২) এবং পিয়াস (২২)। গুরুতর আহত শুভ মিয়াকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদ ঢাকা থেকে ইসলামপুরে ফেরেন। এরপর তার কর্মী-সমর্থকরা তাকে সঙ্গে নিয়ে কুলকান্দীতে তার গ্রামের বাড়িতে যান। পরে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার সময় পাথর্শী ইউনিয়নের মলমগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবুর সমর্থকরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ফরহাদপন্থী গ্রুপের ৪ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে শুভ মিয়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদ বলেন, তিস্তা ট্রেনে ঢাকা থেকে ইসলামপুরে এসেছি। কর্মী-সমর্থকরা আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর খবর পাই, মলমগঞ্জ বাজারে সাগর ফরাজীর নেতৃত্বে আমার লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবুর সমর্থক। আমরা সংঘাতে যাব না, আইনগত ব্যবস্থা নেব। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
জামালপুর-০২ (ইসলামপুর) আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে ঢাকায় আছি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, আমাদের কোনো কর্মী-সমর্থক জড়িত নয়। আমার কোনো লোক ঘটনাস্থলে যায়নি। যদি দলের কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসলামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি কয়েকজন আহত হয়েছে। কী কারণে সংঘর্ষ ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।