বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০২:০৩:১৯

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি।

জানা যায়, জোরপূর্বক গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে না আসায় জেড আই খান পান্নাকে তলব করা হয় ট্রাইব্যুনালে। পরে ট্রাইব্যুনালে গিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি।

গত ২৩ নভেম্বর সকালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। পরে এ বিষয়ে শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেন পান্নাকে।

কিন্তু, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ঘোষণা দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি শেখ হাসিনার আস্থা নেই। যে আদালতের প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যার আস্থা নেই, সে আদালতে তো আমি তাকে ডিফেন্ড করতে পারি না; উচিত না, অনৈতিক।

তিনি জানান, তিনি শেখ হাসিনার পক্ষে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাননি। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন, না পেলে এটাই তার সিদ্ধান্ত যে তিনি ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াবেন না।

তবে, ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী (বিএনপি নেতা) ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার যে অভিযোগ এসেছে, সে মামলায় ফজলুর রহমানের পক্ষে শুনানি করবেন বলে জানান জেড আই খান পান্না।

এদিকে বুধবার আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। সকালে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এই শুনানি শুরু করেন।

এ সময় আসামিপক্ষ সময় চাইলে চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে জানান, তারা তাদের শুনানি করে ফেলতে চান। তারপর আসামিপক্ষকে সময় দিলে প্রসিকিউশনের আপত্তি নেই।

টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রধান আসামি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন পলাতক।

আলোচিত এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানিকে ঘিরে এদিন সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক ও বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাকে। তারা হলেন- কর্নেল এ কে এম আজাদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

এর আগে, সকালে গুমের মামলায় সাবেক ও বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাকে হাজিরকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে