এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা দিনদিন বাড়ছে। টানা তিনদিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
বুধবার (৩ ডিসেম্বের) ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেখা গেছে, সকালে ঘন কুয়াশায় পুরো জেলা ঢেকে থাকে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচালক ও নিম্নআয়ের মানুষদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি।
জানা গেছে, জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তবে সব থেকে বেশি কষ্টে আছেন চরাঞ্চলের মানুষরা। খোলা পরিবেশে হিমেল বাতাসে রাত কাটানো কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের।
ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাডোবা চরের আবেদ আলী ও মুনছুর আলী জানান, সন্ধ্যা শুরু হওয়ার পর বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা পড়তে থাকে। চরাঞ্চলে গাছপালা না থাকায় শীতের প্রকোপটা খুবই বেশি। সব থেকে বেশি কষ্ট দেয় বাতাস। ছোট শিশু এবং বয়স্ক মানুষকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কম্বল কেনার জন্য ৯ উপজেলাতে ৬ লাখ করে মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আরও কয়েকদিন কুড়িগ্রামে শীত ও কুয়াশা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিনই কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে। সামনে শীত ও কুয়াশা আরও বৃদ্ধি পাবে।