এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিকেল বোর্ড সবুজ সংকেত দিলেই কাতারের রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কাতারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ আসবে। সেইভাবে তারা এখন প্রস্তুত রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষ অ্যারেজমন্টে হচ্ছে।
জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার বিষয়টি ঠিক আছে। আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। অর্থাৎ, বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য রয়েল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে সবকিছু হচ্ছে। এখানে আমাদের কিছু নেই।
এদিকে বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।
একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো ফ্লাই করার সমক্ষমতা অর্জন করেননি। এ জন্য লন্ডন যাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে। তারা জানান, গত দুদিনে মেডিকেল বোর্ড কিছু পরীক্ষা করেছে, তার প্রতিবেদনও তারা পর্যালোচনা করছেন।
গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনই বোর্ডের সভায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি ও চোখের সমস্যাসহ ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের মতো নানা জটিলতায় ভুগছেন।
গত ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পর ওইদিন থেকেই সেখানে ভর্তি রয়েছেন খালেদা জিয়া। ২৭ নভেম্বর তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে নিবিড় চিকিৎসা দিচ্ছে মেডিকেল বোর্ড। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরই দেশের চিকিৎসক টিমের সাথে যুক্ত হন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসরা।