শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১৬:৪০

প্রতিবাদ বিবৃতির পর রিজভীর দুঃখ প্রকাশ

প্রতিবাদ বিবৃতির পর রিজভীর দুঃখ প্রকাশ

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীর বরাতে দুপুরে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। সেই বক্তব্যের জন্য ডিএমপি কমিশনার, সাদিক কায়েম ও জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রতিবাদ বিবৃতির পর দুঃখ প্রকাশ করেছেন রিজভী।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আরটিভির লোগো ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এছাড়াও শরিফ ওসমান হাদিকে আক্রমণকারী একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সাথে ডাকসু’র ভিপি’র চা খাওয়ার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ দুইটি বিষয় ছিল ভিত্তিহীন এবং এআই জেনারেটেড। ফ্যাক্ট চেক না করে উল্লিখিত বিষয় দুটি নিয়ে আজ দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সভায় বক্তব্য রাখি। এই অনিচ্ছকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রিজভী বলেন, এক দেড় ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকে দিয়ে দিলেন- তার মানে কি ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনির মতো অবস্থা না? আপনি ঘোরার আগে গাড়ি জুড়িয়ে দিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রনেতা এখন…।  

তিনি বলেন, আজকে পুলিশ কমিশনার বলছেন, যে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে, সে শিবিরের লোক। এখন আমি বলি, এটা তো বিএনপির কোনো নেতার স্টেটমেন্ট না। এটা যারা তদন্তকারী কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা রাষ্ট্রের আইনের স্বীকৃত সংস্থা, তারা বলছেন। এখন ফেসবুকে কী লিখবেন, আমি সেই ছাত্রনেতাকে জিজ্ঞেস করতে চাই।

রিজভী বলেন, তদন্ত হলো না, কিছু হলো না। এই এলাকায় বারবার এলেন মেয়র। তার সামাজিক অবস্থান, তার জাতীয় রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা না করেই আপনি কেবল ইউনিভার্সিটির একটি ছাত্রনেতা হয়েছেন। আপনার চেয়ে ৩৬ বছর আগে আমরা ছাত্রনেতা, আরেকটি বড়ো ইউনিভার্সিটির ভিপি হয়েও আমরা কোনো অন্য দলের সিনিয়র নেতাকেও এই ধরনের বাজে কথা বলে কখনো অভিহিত করিনি। আর আপনারা এটা করে দিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা তদন্তের আগেই মির্জা আব্বাসের নাম বলে দিলেন।

রিজভী বলেন, শুধু একটি প্রশ্নই করবো। ঘটনার এক ঘণ্টা পরই ফেসবুকে একটি পক্ষ মির্জা আব্বাসকে গ্যাংস্টার বলেছে। এক ঘণ্টা পরই ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না। কই, তাদের ওপর তো কোনো ধরনের হামলা হয়নি।

রিজভী অভিযোগ করেন, হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারী আগে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল।

দেখা গেছে, সে সাদিক কায়েমের সঙ্গে একই টেবিলে বসে চা খাচ্ছে। যারা একাত্তরে গণহত্যা ও মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, তাদের তো বিবেকবোধ বলে কিছু নেই।

তিনি বলেন, একটি মহল পাঁচ আগস্টের পর মব কালচার তৈরি করেছে। এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের নায়ক তারা। এখন তা প্রকাশ হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ ঘৃণ্য হামলার বিচার চাই।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে