এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজশাহীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধিতে দাম কমেছে। একইসঙ্গে পেঁয়াজের দামও কিছুটা নিম্নমুখী। তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে ডিমের বাজারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে হালিতে ৫ টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজশাহী শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। দাম কমে এই সপ্তাহে প্রতি কেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, লাল আলু ২০-২৫, হল্যান্ড আলু ২০-২৫ ও নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও গত সপ্তাহের থেকে কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, রসুন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সাদা ডিম ৪২ থেকে ৪৫ ও লাল ডিম ৪৫-৫০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে শীত মৌসুমের সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। বেগুন ও শিম ৫০-৭০ টাকায়, টমেটো ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৩০-৩৫ টাকা, মুলা ৩০, কচু ৫০ এবং মিষ্টিকুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালংশাক, লালশাক ১০-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে লাউ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানায়, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণেই কমেছে সবজির দাম।
সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল কাদের বলেন, শীতের সবজি এখন মাঠ থেকে বেশি আসছে। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে। সামনে আরও কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদানি ও দেশি পেঁয়াজ একসঙ্গে বাজারে আসায় দাম কমেছে। তবে পরিবহন খরচ বাড়লে আবার দাম বাড়তে পারে।
অন্যদিকে ডিম বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, খামারে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, বিশেষ করে খাবার ও পরিবহন খরচ। সেই কারণে ডিমের দাম বাড়াতে হয়েছে।
নগরীর উপশহরের বাসিন্দা রেহানা বেগম বলেন, সবজির দাম কমায় স্বস্তি পেয়েছি। তবে ডিমের দাম বাড়ায় সংসারের খরচ কিছুটা বেড়ে গেছে।
আরেক ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, সবজি সস্তা হলেও ডিম নিত্যপ্রয়োজনীয়। ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার দিকে নজর দেওয়া দরকার।
অপরদিকে রাজশাহীর বাজারে মাছের দাম আগের মতোই আছে। চাষের রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকায়, পাঙাশ ২৫০ টাকায়, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া ৩০০ টাকায়। দেশি পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়।
চালের বাজারেও স্থিতিশীলতা রয়েছে। সরু নাজিরশাইল বা সিলেক্ট চালের দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং মোটা চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, আর প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। সরিষার তেল লিটারে ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, আর প্যাকেটজাত চিনি ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। খেসারি ডাল ১৫০ টাকা, মসুর ডাল ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম এখন কেজিপ্রতি ১৮০-২০০ টাকা, সোনালি ২৫০-২৮০ টাকা, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৫০০ টাকা।