এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আজ ২০২৫ সালের শীত অয়নান্ত। সহজ বাংলায় বলতে গেলে— আজই উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিন এবং সবচেয়ে বড় রাতের দেখা মিলবে। এই দিনের মধ্য দিয়েই শুরু হলো জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক শীত। আবহাওয়াবিদদের হিসাবে শীত শুরু হয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে। তবে অনেকেই অয়নান্তের দিনকেই প্রকৃত শুরুর দিন মনে করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শীত অয়নান্ত আসলে কোনো পুরো দিন নয়। এটি একটি নির্দিষ্ট মুহূর্ত। ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টা ৩ মিনিটে এই অয়নান্ত ঘটতে চলেছে। এই সময় উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে হেলে থাকে।
এই দিনে সূর্য থাকে মকরক্রান্তি রেখার ঠিক ওপর। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে দেখা যায় সবচেয়ে বড় দিন ও সবচেয়ে ছোট রাত। বিপরীতে উত্তর গোলার্ধে সূর্যের আলো সবচেয়ে কম পড়ে। তাই দিন ছোট হয় এবং রাত হয় দীর্ঘ।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবী তার নিজ অক্ষের ওপর প্রায় ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি কাত হয়ে আছে। এই কাত থাকার কারণেই ঋতুর পরিবর্তন ঘটে। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এর কারণ নয়।
শীত অয়নান্তের পর সূর্য ধীরে ধীরে বিষুবরেখার দিকে উত্তরমুখী যাত্রা শুরু করে। এই যাত্রা চলে প্রায় ছয় মাস। এরপর আসে গ্রীষ্ম অয়নান্ত। তখন সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর থাকে। সেই দিন উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন দেখা যায়।
শীত ও গ্রীষ্ম অয়নান্তের মাঝখানে আসে দুটি বিষুব। মার্চ ও সেপ্টেম্বর মাসে এই বিষুব ঘটে। ওই সময় দিন ও রাত প্রায় সমান হয়। এতে বসন্ত ও শরৎ ঋতুর শুরু বোঝানো হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের দিক থেকে শীত অয়নান্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে সূর্য আকাশে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে থাকে। এটি সূর্য ওঠা বা ডোবার সময়ের চূড়ান্ত দিন নয়।
বিজ্ঞানীরা আরও জানান, জানুয়ারি মাসে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। তবু তখন শীত থাকে। এতে বোঝা যায়, ঋতু পরিবর্তনের কারণ পৃথিবীর এই ২৩ ডিগ্রি হেলে থাকাই।