এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক ফয়সল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় কামাল হোসেনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার দিন তিনি মতিঝিলের খলিল হোটেল এলাকা থেকে দুই যাত্রী নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন। পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে পৌঁছানোর পর একটি মোটরসাইকেল তাঁর অটোরিকশার একেবারে পাশে এসে দাঁড়ায়। মোটরসাইকেলে দুজন আরোহী ছিল। হঠাৎ পাশ থেকে গুলি ছোড়া হলে তাঁর এক যাত্রী সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, পরে আশপাশের লোকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তিনি জানতে পারেন, গুলিবিদ্ধ ওই যাত্রীর নাম শরিফ ওসমান হাদি।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ১৪ ডিসেম্বর ফয়সল করিম মাসুদকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। পরবর্তীতে হাদি মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে শরিফ ওসমান হাদি রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ গঠন করে এর মুখপাত্র হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন।