এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। তবে, তিনি কবে বিএনপিতে যোগ দেবেন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
গণঅধিকারের একটি সূত্র বলছে, বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের মধ্যে যাদের আসন ছাড় দিয়েছে, তাদের অনেকে ধানের শীষ মার্কায় নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। কারণ হিসেবে বিএনপি মনে করছেন ধানের শীষ মার্কায় নিয়ে নির্বাচন করলে জয় অধিকতর সহজ হবে। তাই শরিকদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩টি দলের শীর্ষ নেতা বিএনপিতে যোগদান করেছে। গণঅধিকার পরিষদও নির্বাচনে জয়ের কৌশলে হিসেবে ইতোমধ্যে রাশেদ খাঁনকে বিএনপিতে যোগদানের অনুমতি দিয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনের জয়ের কৌশলে হিসেবে আমরা পার্টি থেকে রাশেদ খাঁনকে বিএনপিতে যোগদানের অনুমতি দিয়েছি।
নুরুল হক নুর জানান, রাশেদ খাঁন ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করলেও তিনি দলের প্রতীক ট্রাক নিয়েই নির্বাচন করবেন।
নুর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফ্যাসিবাদের উত্তাল সময়ে বিএনপি গণঅধিকার পরিষদসহ প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল ও জোট আমরা ফ্যাসিবাদের পতনে একদফার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করেছিলাম। সেই সময় থেকেই আমাদের আলাপ আলোচনা হয়েছে যে ফ্যাসিবাদের পতন পরবর্তী রাষ্ট্রকে নতুনভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা রাষ্ট্র সংস্কার করব। সেই লক্ষ্যে আমরা যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছি তারা একসঙ্গে নির্বাচন এবং একসঙ্গে আগামীতে জাতীয় সরকার গড়ব। যেহেতু আন্দোলনটি কার্যত বিএনপির নেতৃত্বেই হয়েছে তাদের সামগ্রিক সমন্বয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে বিএনপি নেতৃত্ব দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আরপিও বিধান অনুযায়ী জোট করলেও নিজের মার্কায় ভোট করার বিধান আছে। স্বাভাবিকভাবেই সব এলাকায় হয়ত সব মার্কা নিয়ে সবাই জয় লাভ করতে পারবে না। যে কারণে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরীকদের অনেকেই নির্বাচনে জেতার কৌশল হিসেবে তারা বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ নিয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করছেন। যেহেতু আমরা একসঙ্গে সরকারও করব, আন্দোলন করেছি। আন্দোলন পরবর্তী গণ অভ্যুত্থানের পরবর্তী গত দেড় বছরে আমরা নিজেরা আলাপ আলোচনা সমন্বয়ের মাধ্যমে একই স্ট্যান্ডে কাজ করেছি।
গণঅধিকারের সভাপতি বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান যেখান থেকে নির্বাচন করছে সেখানে নির্বাচনের জয়লাভের কৌশলের জন্য আমরা তাকে দল থেকে এটা অনুমতি দিয়েছি, তিনি ধানের শীষে নির্বাচন করবে এবং তিনি গণঅধিকার পরিষদের পদ থেকে রিজাইন করবেন।
রাশেদ খাঁন পদত্যাগের পর দলীয় ফোরামে আলোচনা করে একজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হবে বলেও উল্লেখ করে নুর।
রাশেদ খাঁনের যোগাদানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে, বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে যোগ দিতে পারেন তিনি।
এরআগে নিজ দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করেছে বিএলডিপির সভাপতি শাহদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমদে এবং এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএমের) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।