এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নামে মনোনয়ন দেওয়া আসনগুলোতে ভোটগ্রহণ স্থগিত হবে কি না- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নির্বাচন আইন অনুযায়ী কোনো বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনের নির্বাচনী কার্যক্রম বাতিলের বিধান থাকলেও, খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেই আইন প্রযোজ্য হবে কি না, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান ও আইনি ব্যাখ্যা এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
গতকাল সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বাধিক তিনটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ এবং ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছিল।
একই তিন আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে বিকল্প প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া জীবনাবসান করেন।
জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত আইন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে- যদি কোনো বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করেন এবং মৃত্যু বরণ করেন, তবে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে হয়।
নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা থাকা সত্ত্বেও তিনি বা অন্য কেউ এখনো বৈধ প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হননি। কোনো প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া পার করে বৈধ ঘোষিত হলে তবেই তাকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তার মনোনয়ন স্থগিত থাকবে।
নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তপশিল পুনঃঘোষণা করা হয়। তবে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া প্রযোজ্য নয়।
তিনি বলেন, কোনো আসনে কোনো দল একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন দিতে পারে। তবে একাধিক প্রার্থী থাকলে শেষ পর্যন্ত (প্রতীক বরাদ্দের আগে) যার নামে দল থেকে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেওয়া হয়, তিনিই দলীয় প্রার্থী হন।
ইসি মাছউদ আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তপশিলে পরিবর্তন আনার কোনো সুযোগ বা প্রয়োজন নেই।