ঢাকা : যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা মতিউর রহমান নিজামীর আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। রায়ের আদেশ দেয়া হবে ৫ মে। এদিন নাকচ হলে নিজামীর সুযোগ থাকছে আর মাত্র একধাপ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মাহবুবে আলম। নিজামীর পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
৫ মে রায়ে আদালত ফাঁসির আদেশ দিলে আইন অনুযায়ী মতিউর রহমান নিজামী শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন। সে আবেদনও যদি নাকচ হয়ে যায় সরকারের নির্দেশনায় কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃতাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে নিজামীর করা রিভিউ আবেদনের শুনানি হবে জানিয়ে সোমবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে কার্যতালিকা প্রকাশ করা হয়।
আগের দুই দফা পেছানোর পর গত ১০ এপ্রিল আবারো শুনানি ৩ মে পর্যন্ত মুলতবি করে আদালত বলেন, ওই দিনই আবেদনের শুনানি হবে। মুলতবির আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না।
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিপক্ষে নিজামীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয় গত ১৫ মার্চ। ওইদিনই ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানো হয় কারাগারে। পরের দিন তা পড়ে শুনানো হয় কাশিমপুর কারাগারে থাকা নিজামীকে।
আইন অনুযায়ী রিভিউ আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ মার্চ। তবে একদিন আগে করা ৭০ পৃষ্ঠার আবেদনে ৪৬টি কারণ দেখিয়ে নিজামীর পক্ষে রায় পুনর্বিবেচনা চাওয়া হয়।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি রায় দেন আপিল বিভাগ। এর আড়াই মাসের মাথায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
রায়ে গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন অভিযোগে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন আদালত।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
৩ মে, ২০১৬/এমটনিউিজ২৪/এমআর/এসএম