শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬, ০৯:৫৭:২১

শবে বরাতে পটকা ফোটানো যাবে না, আল্লাহ’র দরবারে প্রার্থনার রাত

শবে বরাতে পটকা ফোটানো যাবে না, আল্লাহ’র  দরবারে প্রার্থনার রাত

ঢাকা : শবে বরাতের রাতে যেকোনো ধরনের পটকাবাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

১৪ মে শনিবার রাতে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শবে বরাত অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিতকরণে ঢাকা মহানগরীতে ২২ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ক্ষার জাতীয় বা বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকাবাজিসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।

এদিকে ৭ মে দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ২২ মে দিবাগত রাত শবে বরাত বলে জানায় চাঁদ দেখা কমিটি।

ওইদিন মাগরিবের নামাজের পর এ তথ্য নিশ্চিত করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ও চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. আমজাদ আলী।

তিনি জানান, আজ ২৯ রজব।  কিন্তু দেশের কোথায়ও চাঁদ দেখা যায়নি।  তাই আগামীকাল ৮ মে ৩০ রজব পূর্ণ হবে।  এ হিসাবে ৯ মে পহেলা শাবান মাস।

‘শব’ শব্দের অর্থ রাত এবং ‘বরাত’ অর্থ সৌভাগ্য।  এ দুটি শব্দ নিয়ে ‘শবে বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী।  আরবিতে একে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’।

রাতটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত।  মহান আল্লাহ তা’য়ালা এ রাতে বান্দাদের জন্য তার অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।  

মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি, পাপ-তাপের

জন্য গভীর অনুশোচনায় মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে সকাতরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নফল নামাজ, জিকির-আজকার, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে বিনিদ্র রাত কাটিয়ে বিনম্র প্রার্থনা করেন ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য।

প্রয়াত আত্মীয়-স্বজনসহ চিরবিদায় নেয়া মুসলিম নর-নারীর কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।  

পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতেও সন্ধ্যার পর থেকেই মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।  অনেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থেকে শেষ রাতে সেহির খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন।

শাবান মাসের পরেই আসে পবিত্র মাহে রমজান। শবে বরাত মুসলমানদের কাছে রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে।  শবে বরাতের মধ্যদিয়েই শুরু হয় রমজান মাসের সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি।

বাঙালি মুসলিম সমাজে শবে বরাতের একটি আনন্দঘন সামাজিক দিকও রয়েছে।  এদিন মুসলমানদের বাড়িতে সাধ্যানুযায়ী হালুয়া, পায়েস, রুটিসহ উপাদেয় খাবার রান্না করা হয়।  

এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে পাঠানো এবং গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। অনেকে মুক্ত হস্তে দান-খয়রাত করে থাকেন।

বরাবরের মতোই শবে বরাতের পরদিন সরকারি ছুটি থাকে।  দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়ে থাকে।  

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে।  দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে পরম করুণাময়ের দরবারে প্রার্থনা করা হয়।
১৪ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে