সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬, ১২:১০:৩৩

আসলাম চৌধুরীকে ৩০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

আসলাম চৌধুরীকে ৩০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীকে ৩ মামলায় ৩০ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। তনি মামলা হল- রাজধানীর মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার দুট এবং গুলশান থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের একটি।

সোমবার মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট মারুফ হোসেনের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ইতোমধ্যে, আসলাম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এর আগে গত ১৬ মে (সোমবার) ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এম আসলাম চৌধুরী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকা সিএমএম আদালত।

এর আগে গত ১৫ মে (রোববার) রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে ওই অভিযোগে আসলাম চৌধুরী এবং মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে আটক করা হয়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদ প্রকাশ হচ্ছিল যে, সম্প্রতি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নয়াদিল্লিতে একাধিক বৈঠক করেন আসলাম চৌধুরী। ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের সরকার উৎখাত করাই ছিল এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য। গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় সাফাদি ও আসলাম চৌধুরীর একত্রে ছবিও প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে।

এ ছাড়াও একটি রেস্তোরাঁর এক টেবিলে এই দুজনের বসে কথা বলার ছবি প্রকাশিত হয়। ছবিগুলোর উৎস মেন্দি এন সাফাদির ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতা ‘মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস’। ওই পাতায় মেন্দি নিজেই ছবিগুলো প্রকাশ করেন।

গণমাধ্যমে এসব বৈঠকের ছবি ও খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা এটাকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপির সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।

এরপর গত ১৩ মে আসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, তিনি গত মার্চে ব্যক্তিগত সফরে ভারতে গেলে অন্য একজনের মাধ্যমে সাফাদির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় একসঙ্গে ঘুরেছেন, খাওয়া দাওয়া করেছেন, কিন্তু কোনো বৈঠক করেননি। -বাংলামেইল
৩০ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে