নিউজ ডেস্ক : মার্কিন ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশের বিপুল রিজার্ভ লোপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে সরকারকে জানিয়েছে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি। সোমবার দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদন দেওয়ার পর ফরাসউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আমরা আমাদের রিপোর্ট দিয়েছি, এখন সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও প্রতিবেদন জমার সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রতিবেদন দ্রুতই প্রকাশ করা হবে এবং যেসব সুপারিশ কমিটি করেছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের গচ্ছিত আট কোটি ১০ লাখ ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়েছিল ভুয়া বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে। একইভাবে শ্রীলঙ্কায় ২ লাখ ডলার সরানো হলেও শেষ মুহূর্তে তা আটকানো হয়।
চুরি যাওয়া এই অর্থের মধ্যে কী পরিমাণ উদ্ধার করা সম্ভব হবে, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। রিজার্ভের অর্থ ‘খোয়া’র ঘটনায় গত ১৫ মার্চ ৩ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার।
এ কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব গকুল চাঁদ দাস।
গত ২০ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেয় ফরাসউদ্দিনের কমিটি। এরপর সোমবার পুরো প্রতিবেদন দেওয়া হলো।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দেওয়ার পর ফরাসউদ্দিন তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের কোনো তথ্য না দিলেও কয়েকদিন পর তিনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মূলত সুইফট দায়ী। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও গাফিলতি ছিল। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।”
৩০ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম