সোমবার, ০৬ জুন, ২০১৬, ০৯:১৬:১২

সকালে বের হতেই এসেছিল মিতুর মোবাইলে এসএমএস

সকালে বের হতেই এসেছিল মিতুর মোবাইলে এসএমএস

নিউজ ডেস্ক : ওইদিন সকালে বের হতেই এসএমএস এসেছিল দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুর মোবাইল ফোনে।

তার ছেলে আকতার মাহমুদ মাহিরকে চট্টগ্রাম ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে রেখে আসার জন্য প্রতিদিন সকাল ৭টায় বাসা থেকে বের হতেন তিনি।

তবে গত শনিবার রাতে একটা নম্বর থেকে তার মোবাইলে এসএমএস দিয়ে ছেলের স্কুলে কুচকাওয়াজ ও অ্যাসেমব্লির কথা বলা হয়।

ওই এসএমএস পেয়েই মিতু পরদিন (গতকাল রোববার) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে বাসা থেকে বের হন।  বাসার ১০০ গজ দূরে নগরের পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তরা মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।

মাহমুদা আক্তার মিতু নগরের ও আর নিজাম আবাসিক এলাকার ‘ইক্যুটি সেনটিয়াম’ নামের একটি বাড়ির সপ্তম তলায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন।  বাসায় ছেলে আকতার মাহমুদ মাহির, মেয়ে তাবাসসুম তাজনীন তাপু ও গৃহকর্মী ফাতেমা আক্তার ছিলেন।

তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, দুর্বৃত্তরা আগে থেকেই হয়তো মিতুকে ফলো করে আসছিল কখন বের হয়।  কখন বাসায় ফেরে, কখন একলা থাকে- এসব পর্যবেক্ষণ করছিল।  

কিন্তু কোনো সুযোগ না পেয়ে ছেলেকে সকালে স্কুলে রেখে আসার জন্য কৌশলে এসএমএস করে তারা। স্কুল কর্তৃপক্ষের এসএমএস ভেবেই ছেলেকে নিয়ে মিতু বের হয়েছিলেন।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া ভূঁইয়াপাড়ার বাসায় মিতুর ছোট বোন শায়লা মোশাররফ নিনজা গণমাধ্যমকে বলেন, আপুর (মিতু) খুনের খবরে আব্বুর সঙ্গে চট্টগ্রামে আমিও গিয়েছিলাম।  সেখানে ফ্ল্যাটের একাধিক নারীর সঙ্গে কথা হয়।  তারা এসএমএস বিষয়টি জানান।

শায়লা বলেন, রাতে মোবাইলে এসএমএস আসার পর আপু নিশ্চিত হওয়ার জন্য অন্য বাচ্চাদের অভিভাবকদের ফোন করেন।  কিন্তু কয়েকজন জানান, এসএমএস পাইনি।  এসএমএস যেহেতু এসেছে সকালেই না হয় বের হব।  এমনটা অন্যদের বলেছিলেন।

তিনি বলেন, আপু যথারীতি সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে বাসা থেকে বের হন।  এরপরই এ দুর্ঘটনা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এসপি বাবুল আকতারের সক্রিয় ভূমিকার কারণে তার স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যবহৃত এবং তিনটি অব্যবহৃত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।  কি উদ্দেশ্যে মিতুকে হত্যা করা হলো তা জানার চেষ্টা চলছে।  তবে জঙ্গিরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।

মিতুর ফোনে আসা এসএমএস-এর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ।  মিতুকে হত্যা করে চলে যাওয়ার সময় কিছু না নিলেও তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি নিয়ে গেছে।  কোন নম্বর থেকে এসএমএস এসেছিল তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য।

৬ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে