ঢাকা : মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয়স্থান পবিত্র কাবা শরিফের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সামরিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে গঠিত সামরিক জোটে বাংলাদেশ অংশ নেবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরব বসন্তের নামে মধ্যপ্রচ্যে যে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল, সৌদি আরবের নেতৃত্বে তা বন্ধ হয়েছিল।
তিনি বলেন, তেমনি বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সৌদি আরব। আমরা তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মক্কা ও মদিনা শরীফের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। প্রয়োজনে সামরিক সহায়তা দেবে বাংলাদেশ।
পাঁচদিনের সৌদি সফর শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন এ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সফরকালে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা। আমি তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি বাদশাকে জানিয়েছি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
সৌদি সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কাজ করছেন। সেখানে আররো লোক পাঠাতে পারবো।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা সেখানে যাবেন তাদের নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি বাদশাসহ অনেক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের জায়গা দেব।
তিনি বলেন, সেদেশের ব্যবসায়ীরা এখন আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছে। দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের জমি দেব। সেখানে তারা কারখানা করে পণ্য উৎপাদন করবে।
তিনি বলেন, তারা রফতানিও করতে পারবে। সৌদি আরবে এখন আমরা শুধু শ্রমিক পাঠাবো না, এখন দক্ষ ডাক্তার ও প্রকৌশলীও পাঠাতে পারবো।
নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে নারী শ্রমিকরা সঙ্গে স্বামী বা পিতাকে নিয়ে যেতে পারবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সৌদি বাদশা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এখন থেকে আকামা পরিবর্তন করতে পারবে।
৮ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম