সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬, ০৩:০০:১৭

রাজনৈতিক সমঝোতায় সমাধান

রাজনৈতিক সমঝোতায় সমাধান

শেখ মামুনূর রশীদ: গুপ্তহত্যা বন্ধসহ চলমান সংকট নিরসনে প্রয়োজন রাজনৈতিক উদ্যোগ। আর এ উদ্যোগ শাসক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেই নিতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে ধাবিত হবে। সরকার যদি সমঝোতার পথে না গিয়ে দমনের পথ বেছে নেয় তাতে এ সংকটের সমাধান হবে না। বরং সংকট আরও বাড়বে। এমনকি কালক্ষেপণ করলে সমঝোতার সুযোগটাও হাতছাড়া হতে পারে। আর এর মাশুল শুধু সরকারকে নয়, পুরো দেশ ও জনগণকে দিতে হবে। এমনটাই মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, সরকার একরোখা মনোভাব পরিহার না করলে চলমান সংকটের সুযোগ নেবে তৃতীয় পক্ষ। বিদেশী শক্তিগুলোও আরও বেশি করে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে। উগ্র সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী, জঙ্গিগোষ্ঠীও আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। সে সময় সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তখন হা-পিত্যেশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।


ইতিমধ্যে দেশী-বিদেশী এসব পক্ষ নানা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা এখন যেনতেন উপায়ে এখানে আইএস (মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামী স্টেট) আছে বলে প্রমাণ করতে চায়। কেননা, এটি করতে পারলেই খুব সহজেই তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল করা সম্ভব হবে। আর অবস্থা সেদিকে গড়ালে রাজনৈতিক দল শাসিত সরকার ব্যবস্থা আর থাকবে না। তখন রাজনৈতিক দলগুলোর আম-ছালা সবই যাবে। তাই সময় থাকতে সবাইকে সজাগ ও সচেতন হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সমাজের বিশিষ্টজনরা। বর্তমান পরিস্থিতিকে ভয়াবহ দাবি করে বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন  বলেন, এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। এজন্য প্রয়োজনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সংলাপ আয়োজন করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই লাশ পড়ছে। মানুষ খুন হচ্ছে। এ দেশে এখন কেউ আর নিরাপদ নন। কারা, কেন এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করছে তা খুঁজে বের করতে হবে। প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করতে হবে। শুধু দোষারোপের রাজনীতি দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এজন্য রাজনৈতিক সহাবস্থানও নিশ্চিত করতে হবে। সমস্যাটা রাজনৈতিক, তাই রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান হতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে কি লাভ হচ্ছে? খুন তো বন্ধ হচ্ছে না। তাই দায় চাপানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সবাই মিলে এক টেবিলে বসা। কারণ বিষয়টি এখন জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা না থাকলে উন্নয়ন-অগ্রগতিও থমকে দাঁড়াবে। বিনিয়োগ হবে না। বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে না। মানুষ প্রতিনিয়ত ভয়ের মধ্যে বসবাস করবে। আর এ ভয় থেকে বিদেশে পাড়ি দেয়া লোকের সংখ্যা বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে অর্থ পাচারও।
ড. শাহদীন মালিক আরও বলেন, দেশ পরিচালনায় এখন জনগণের অংশগ্রহণ নেই। গণতন্ত্র নামে আছে। যার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। তিনি বলেন, একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু কোনো হত্যাকাণ্ডেরই সুরাহা হচ্ছে না। ফলে এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিদেশী কূটনীতিক, দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তারা মনে করছে, বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে।

এ মনোভাব দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। মনে রাখতে হবে, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিয়ে এসব সমস্যার সমাধান কোনো দেশই করতে পারেনি। সমস্যার সমাধান চাইলে দোষারোপের সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। প্রয়োজনে সংলাপে বসে রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে আশংকাজনকভাবে বেড়ে চলছে গুপ্তহত্যা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও লাশ পড়ছে। লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিদেশী নাগরিক, সেনা কর্মকর্তার মা, পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী, ইমাম, মুয়াজ্জিন, ধর্মযাজক, পুরোহিত, সেবায়েত কেউই এখন আর নিরাপদ নন এ দেশে। পরিস্থিতি উত্তরণে শুক্রবার থেকে ঘোষণা দিয়ে দেশজুড়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে সরকার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চিহ্নিত ও দাগি অপরাধীরা রয়ে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

অভিযানের প্রথম দিনেই উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীরা পাবনায় আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে কুপিয়ে হত্যা করে ভিন্ন বার্তা দেয়ার চেষ্টা করে। সর্বশেষ গতকাল (রোববার) তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে তার বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এর আগে সংসদ কমিশনের বৈঠকে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংসদ সদস্যরা। তারা তাদের সরকারি বাসভবন ন্যাম ফ্ল্যাটে নিরাপত্তা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ন্যাম ভবনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী-এমপি-ব্যবসায়ী-শিক্ষক-শীর্ষ আইনজীবী-বুদ্ধিজীবীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অনেকে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন বলে জানা গেছে।


পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, বিষয়টিকে আর হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। বড় দু’দল একে অপরকে দোষারোপ করে বিষয়টির ভয়াবহতা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেশে চলছে একের পর এক গুপ্তহত্যা। গত এক বছরে ৪৯ জন নিহত হলেও এখন পর্যন্ত ঘাতকের টিকিটিও ছোঁয়া যায়নি। উদ্ঘাটন করা যায়নি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ। তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এসব হত্যাকাণ্ডের কূলকিনারা উদ্ঘাটন করতে পারছে না। ওদিকে কেন এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে তাও এখনও অজানা। এরকম পরিস্থিতিতে সমন্বিত রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। এ পরিস্থিতি শুধু আইনশৃংখলা বাহিনী দিয়ে প্রতিরোধ কিংবা দমন করা যাবে না। তাছাড়া ইতিমধ্যে যারা বিপথগামী হয়ে এভাবে গুপ্তহত্যায় শামিল হয়েছে তাদের কাছে আইন-কানুন মেনে চলা কোনো বিষয় নয়। কেননা, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। তারা যে পথে চলছে সেটিকে বিশেষ আদর্শ মনে করে। তাই ক্রসফায়ার কিংবা কিছু লোককে জেলে পুরে এর সমাধান হবে না।

এসব জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তাদের মিথ্যা আদর্শকে কবর দিতে হবে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, দেশে রাজনৈতিকভাবে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে এরা কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। আর তা না হলে এরা কারও না কারও স্বার্থের বলি হয়ে পুরো সমাজকে সংক্রামিত করার চেষ্টা করবে। মনে রাখতে হবে, যিনি বা যারা চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মিতুকে হত্যা করছে তারা নাটরে সুনীল গোমেজকে, কিংবা ঝিনাইদহে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে হত্যা করছে না। অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন দল অংশ নিয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য এক। তাহলে এরা সংখ্যায় নেহায়েত কম নয়। আমাদের সবার অলক্ষ্যে এরা গণতন্ত্রকে চাপাতির নিচে নিয়ে গেছে। আর এসব খুনিরা নিশ্চয় মধ্যপ্রাচ্য কিংবা পাকিস্তান থেকে আসেনি। মগজ ধোলাই করে আমাদের এক শ্রেণীর যুবসমাজকে বিপথগামী করতে সক্ষম হয়েছে চক্রটি।


এদিকে এ পরিস্থিতি মোকাবেলার সমাধান কী জানতে চাইলে প্রখ্যাত বাম রাজনীতিক ও কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশের শাসন ক্ষমতায় যারা আছেন তারা লুটেরা ও বুর্জোয়া রাজনীতির ধারক বাহক। জনগণের কথা ভাবার চাইতে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার কথাই ভাবে বেশি। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের চরিত্রও একই। যে কারণে মানুষের জীবনহানিতে তাদের মাথাব্যথা নেই। তাদের প্রয়োজন শুধু ক্ষমতায় টিকে থেকে লুটপাট করা। যে কারণে বর্তমান সংকটকে তারা আমলে নিচ্ছে না। অথচ এটি একটি বড় সংকট। এ সংকট থেকে উত্তরণে অবশ্যই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সমঝোতা এবং সংলাপের বিকল্প কিছু নেই।


বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) একাংশের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশের মানুষ আজ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ নিয়ে তথাকথিত দু’বড় দলের কারও মাথাব্যথা নেই। এক দল যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে ব্যস্ত। আরেক দল ক্ষমতায় যে কোনো মূল্যে যাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত। তারা কেউই মানুষ নিয়ে ভাবে না। দেশ নিয়ে ভাবে না। তিনি আরও বলেন, ‘এই যে প্রতিদিন লাশ পড়ছে। এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।’ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, টার্গেটকিলিং এখন একটি জাতীয় সমস্যা। এনিয়ে তারা (দু’বড় দল) আলোচনায় বসবে, তা না করে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষ দিচ্ছে। মাঝখানে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিচ্ছে। তিনি বলেন, বিষয়টি জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সব পক্ষকে একসঙ্গে বসা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।


এ প্রসঙ্গে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশে এখন টার্গেটকিলিং চলছে। আমি, আপনি, আমরা কেউই এ কিলিং থেকে নিরাপদ দূরত্বে নেই। যদি কেউ ভেবে থাকেন তিনি নিরাপদে আছেন, তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র বৈরিতা বিরাজমান। কারও মধ্যে ন্যূনতম কথাবার্তা নেই। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। যার সুযোগ নিচ্ছে তৃতীয় পক্ষ। সাইফুল হক বলেন, সরকারের উচিত এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং জনগণকে আস্থায় নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া। তা না হলে আখেরে সবার জন্যই বিষয়টি বুমেরাং হবে।


তিনি বলেন, সস্তা রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে কিছু ঘটলেই এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছে। তা না করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবার উচিত রাজনৈতিক সমঝোতা সৃষ্টি করা। এক্ষেত্রে শাসক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেই এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু তারা ক্ষমতায় তাই তাদের দায়িত্ব বেশি। তারা যদি সমঝোতার পথে না গিয়ে দমনের পথ বেছে নেয় তাতে এ সংকটের সমাধান হবে না। বরং সংকট আরও বাড়বে। সাইফুল হক আরও বলেন, সরকার কালক্ষেপণ করলে সমঝোতার সুযোগটাও হারিয়ে ফেলবে। আর তার মাশুল শুধু সরকারকে নয়, পুরো দেশ ও জনগণকে দিতে হবে। এখনও সময় আছে, সরকারকে ঘটনার গভীরে যেতে হবে। বাস্তবতা উপলব্ধি করে কার্যকর এবং টেকসই উদ্যোগ নিতে হবে।


বিশিষ্ট লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি অতীতের যে কোনো সময়ের চাইতে ভয়াবহ। এরকম অবস্থায় সংলাপে বসা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই সংলাপ কখন কিভাবে হবে, এর এজেন্ডাই বা কি হবে তা রাজনীতিকরাই বসে ঠিক করবেন। এদিকে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সংলাপ-সমঝোতার প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, সরকার এর আগে যেভাবে আগুনসন্ত্রাস মোকাবেলা করেছে, একইভাবে এ গুপ্তহত্যাও বন্ধ করবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা এ গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে কীসের সংলাপ? সরকার সজাগ আছে, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থাও তৎপর। আশা করি, তারা এটা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই সংলাপে বসার দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা মনে করি, বর্তমানে যে গুপ্তহত্যা চলছে এটি একটি জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যার সমাধান জরুরি। তা না করে ঢালাওভাবে দোষারোপের সংস্কৃতি কারও জন্যই সুখকর হবে না।’ তিনি আরও বলেন, দেশের এবং দেশের মানুষের স্বার্থে সরকারের উচিত সংলাপে বসা। কিন্তু সরকার সে পথে না গিয়ে অতীতের মতোই দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। এতে করে সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।-যুগান্তর

১৩ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে