চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার রহস্য উন্মোচনে নতুন ক্লু নিয়ে কাজ শুরু করছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
চট্টগ্রাম কারাগারে থাকা ফুয়াদ ওরফে বুলবুল নামের এক জঙ্গি সদস্যের লেখা চিরকুট এখন মিতু হত্যার নতুন ক্লু। মঙ্গলবার বুলবুলকে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন এবং ডিসি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পর এ মামলায় নতুন করে গতি পেয়েছে।
পুলিশের ধারণা, মিতুকে হত্যার বিষয়ে ওই বিশেষ চিরকুটে কোনো নির্দেশনা থাকতে পারে। চিরকুটের লেখক বুলবুল গ্রেপ্তার হন নিহত মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের হাতে।
বুলবুল এখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মিতু হত্যার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্তকাজে গতি এসেছে। শিগগিরই বড় কোনো সাফল্য দেখাতে সক্ষম হব।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গত মাসে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জঙ্গিদের কাছে পাঠানো একটি বিশেষ চিরকুট নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই চিরকুটে বুলবুল তাদের ওপর নির্যাতনের কাহিনী এবং জঙ্গি নেতা জাবেদকে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করার কথা বলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিরকুটটি বের হয়ে বিভিন্ন হাত ঘুরে এখন নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে বলে জানায় পুলিশ।
গত অক্টোবর মাসে নগরীর খোয়াজনগর এলাকা থেকে পাঁচ জঙ্গি সদস্যকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরা হলেন জাবেদ (২৪), বুলবুল (২৬), সুজন ওরফে বাবু (২৫), মাহবুব (৩৫) ও সোহেল ওরফে কাজল (৩৫)।
খোয়াজনগরে পুলিশের অভিযানের সময় জঙ্গিরা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাবুল আক্তারকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এদিন তিনি প্রাণে বেঁচে যান। জাবেদ পরদিন ভোরে পুলিশের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার অভিযানে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হন।
১৪ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম