নিউজ ডেস্ক : ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির জন্য মনোনীতদের প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীরা ১৮-২২ জুন পর্যন্ত নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পাড়বে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয় থেকে অনলাইনে ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থীর ফল দেখে এই মেধাতালিকা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর ফলে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে একাদশে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরাই এবার কলেজে ভর্তি হয়ে ২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে একাদশে ভর্তিতে এবার ২১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫টি আসন রয়েছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, সাত লাখ আসন এবার ফাঁকা থাকবে। সবাই তার পছন্দের কলেজ নাও পেতে পারেন। তবে আসনের জন্য কেউ ভর্তি হতে পারবেন না- এমন হবে না।
এবার কারিগরি বোর্ডে ৩৬টি, মাদ্রাসা বোর্ডে ১০টি এবং ঢাকা ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে একটি করে কলেজসহ মোট ৪৮টি কলেজে ভর্তির জন্য কোনো আবেদন পড়েনি বলে জানান নাহিদ।
তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ভর্তির পরেও পছন্দের কোনো কলেজে আসন ফাঁকা পেলে সেখানে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। কারিগরিতে পড়ার জন্য প্রায় এক লাখ আবেদন পড়েছে। আশা করছি মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সবাই আবেদন করেছেন।”
ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য:
১. রোল, বোর্ড, পাসের সাল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে শিক্ষার্থীরা www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে মেধাতালিকা দেখতে পারবেন।
২. আবেদনের সময় তারা যে মোবাইল নম্বর দিয়েছেন, সেখানেও এসএমএস করে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
৩. এছাড়া শিক্ষার্থীরা যে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন, সেখানে নোটিস বোর্ডেও মেধা তালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকা পাওয়া যাবে।
৪. নির্বাচিত তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে ১৮ থেকে ২২ জুন । আসন খালি থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি হবে ২৫ থেকে ২৭ জুন।
৫. আগামী ১০ জুলাই একাদশে ক্লাস শুরুর পর ১০ থেকে ২০ জুলাই বিলম্ব ফি দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৫ জন পাস করে। এর মধ্যে ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেন। এই হিসাবে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৬ জন এবার কলেজ ভর্তির আবেদন করেননি।
গত ২৬ মে থেকে ১০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত একাদশে ভর্তির আবেদন নেওয়া হয়। আবেদনকারীদের মধ্যে নয় লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৭ জন অনলাইনে এবং চার লাখ পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন করেন।
একাধিক কলেজে আবেদনের সুযোগ থাকায় এবার কলেজে ভর্তিতে আবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ১৪০টি।
অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরও ১০টিসহ মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ ছিল এবার। একজন আবেদনকারী যতগুলো কলেজকে তার পছন্দক্রমে রাখছেন, সার্ভারে ততটি আবেদন হিসাব করা হয়েছে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণের প্রথম দিন ২৬ মে শুরুর কয়েক ঘণ্টা টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএসে ফি জমা দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। অবশ্য পরে আর জটিলতার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
গতবছর আবেদন জমা দিতে কোনো সমস্যা না হলেও মেধা তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে সার্ভার জটিলতা দেখা দেয়। এতে নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পর শিক্ষার্থীরা ওই তালিকা দেখার সুযোগ পান।
১৬ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস