ঢাকা : পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় নাটকীয় মোড় নিয়েছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। জঙ্গি দমনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মিতুকে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও এতে বলা হয়।
কিন্তু এর তথ্য-উপাত্ত কেউ সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি। পুলিশের তরফে এ বিষয়ে কোনো প্রেস ব্রিফিংও করা হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয়, হয়তো কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিলেন।
এর আগে বলা হয়, এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও শুক্রবার মধ্যরাতে
তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আইজিপির নির্দেশে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে তার শ্বশুরই জানিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রেফতারের সংবাদ পড়ে বাবুল আক্তার নিজেই বলেছেন, কে বলেছে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে?
বাবুল আক্তার বলেন, আমাকে কেউ গ্রেপ্তার করেনি।
যেহেতু আমি মামলার বাদী, তাই এ মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল। তদন্ত সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে।
তবে কী বিষয়ে কথা হয়েছে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিষয়েই কথা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার বলেছেন, বাবুল আক্তার যেহেতু মামলার বাদী, তাই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্যই তাকে ডাকা হয়েছিল। অন্যকিছু না।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ি রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া ১২০ নম্বর বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাবুল আক্তারকে। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খবর প্রকাশ হয়।
এদিকে শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে আটকের খবরে গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রের বরাত দিয়ে তার স্ত্রী সম্পর্কে যে খবর প্রকাশ হয় তা নিয়ে হাস্যেরসের খোরাক যুগিয়েছে। চট্টগ্রামের দামপাড়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া সংক্রান্ত খবরের কোনো ভিত্তি নেই। তাহলে এসপি বাবুল আক্তারকে জড়িয়ে এ কি খবর!
গত ৫ জুন সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে শুরু হয় ব্যাপক তদন্ত।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে মিতু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া চারজনের প্রত্যেককে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
২৫ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম