ঢাকা : চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী এসপি বাবুল আক্তারকে গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বাবুল আক্তার বলেন, আমাকে কেউ গ্রেপ্তার করেনি। আমি যেহেতু মামলার বাদী, তাই এ মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার বলেছেন, বাবুল আক্তার যেহেতু মামলার বাদী, তাই মামলা-সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্যই তাকে ডাকা হয়েছিল।
স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের শনাক্ত ও জিজ্ঞাসাবদের জন্য বাবুল আক্তারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েকজন আসামির সামনে মুখোমুখি করে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এসপি বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি-না বা তাকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখনো বলার সময় হয়নি। শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ি রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া ১২০ নম্বর বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাবুল আক্তারের শ্বশুরও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
মিতু হত্যায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে আবু মুছা (৪৫) ও এহতেশামুল হক ভোলা (৩৮) নামে দুই ব্যক্তিকে এরই মধ্যেই আটক করেছে পুলিশের একটি ইউনিট।
এরা দু’জনই এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।
ধারণা করা হচ্ছে, তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভাড়াটে খুনি হিসেবে তারা মিতুকে হত্যা করেছে অথবা সাহায্য করেছে। মিতু হত্যায় যে অস্ত্রটি ব্যবহার হয়েছে, সেটি নাকি বাবুল আক্তরের সোর্স বিভিন্ন সময় ভাড়া দিত।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
এ ঘটনার পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২৫ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম