শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬, ০৯:২৮:৫২

এ কথা শোনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন এসপি বাবুল আক্তারের শ্বশুর

এ কথা শোনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন এসপি বাবুল আক্তারের শ্বশুর

নিউজ ডেস্ক : মেয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে জামাতা এসপি বাবুল আক্তারকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা শোনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন তার শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।  

মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা বাবুল আক্তার নিজেই করেছিলেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ শোনে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি মোটেও এমন ফালতু সংবাদ বিশ্বাস করি না।  আজে-বাজে খবর প্রকাশের কথা আপনাদের মুখেই প্রথম শুনলাম।

তিনি বলেন, শুরু থেকেই একটি চক্র দুটি পরিবারের চরিত্র হননের চেষ্টা করে আসছে।  সেই চক্রের চক্রান্তেরই এমন সংবাদ।  এসব করে কি লাভ?
 
শনিবার বিকেলে এসব কথা বলেন এসপি বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।  এসপি বাবুল আক্তারের নিহত স্ত্রী মাহবুবা আক্তার মিতুর ছোট বোন শায়লা মোশাররফ নিনজা দুটি সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করার কারণে মানহানির মামলা করারও হুমকি দিয়েছেন।
 
বিকেল ৪টার কিছুক্ষণ পর বাবুল আক্তারকে ডিবি ডিসি (পূর্ব) মাহবুবুল আলমের গাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয় বলে জানান মোশাররফ হোসেন।
 
তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কি-না সঠিক জানি না।  এখনো বাবুলের সঙ্গে আমার কথা হয়নি।  পরে জানতে পারব।
 
দু’একটি সংবাদমাধ্যমে স্ত্রী মিতু হত্যা পরিকল্পনার ছক স্বামী বাবুল আক্তার নিজেই করেছিলেন এমন সংবাদ প্রচারের বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার জামাতা এমন কাজ করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না।  আমি এমন অভিযোগ এই প্রথম শুনলাম। এমন সংবাদ প্রচার করা কুরুচির পরিচয়।
 
এসপি বাবুল আক্তারের শ্যালিকা শায়লা মোশাররফ নিনজা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বোন-জামাইকে নিয়ে কথিত একটি অনলাইন পত্রিকা, একটি পত্রিকার অনলাইন পেজে বাজেভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।  আমাদের কারো কোনো বক্তব্য নেয়া হয়নি।  এ ধরনের অরুচিকর সংবাদ বিশ্বাস করা তো দূরের কথা, কল্পনারও বাইরে।  কোনো পাঠকই এমন সংবাদ বিশ্বাস করতে পারে না।

এমন সংবাদ প্রচারকারী অনলাইন ও পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার কথা ভাবছেন বলে জানান তিনি।  মানবাধিকার কমিশনেও এ বিষয়ে অভিযোগ করবো।
 
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় নাটকীয় মোড় নিয়েছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়।  জঙ্গি দমনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মিতুকে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও এতে বলা হয়।  

কিন্তু এর তথ্য-উপাত্ত কেউ সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি।  পুলিশের তরফে এ বিষয়ে কোনো প্রেস ব্রিফিংও করা হয়নি।  

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ি রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া ১২০ নম্বর বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাবুল আক্তারকে।  এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খবর প্রকাশ হয়।  

এদিকে শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে আটকের খবরে গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রের বরাত দিয়ে তার স্ত্রী সম্পর্কে যে খবর প্রকাশ হয় তা নিয়ে হাস্যেরসের খোরাক যুগিয়েছে।  

গত ৫ জুন সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  
২৫ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে