রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬, ১০:০০:৫৮

মেট্রোরেল-বিআরটি নির্মাণকাজের উদ্বোধন আজ

মেট্রোরেল-বিআরটি নির্মাণকাজের উদ্বোধন আজ

জাতীয় ডেস্ক:  ঢাকাবাসীদের বহু কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল ও বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে আজ।

আজ (রবিবার) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রকল্প দুটির কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল বাড়ানোর ফলে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেল ২০১৯ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চলাচল শুরু করবে।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আবু নাছের শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়নকাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ হিসেবে পরিচিত দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন। মেট্রোরেলের ডিপো উত্তরা আর বিআরটি’র ডিপো এলাকা গাজীপুরে।

প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠান থেকে ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের অধীনে গাজীপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে গাজীপুর বাস ডিপোর নির্মাণকাজেরও উদ্বোধন করবেন।

ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। অপরদিকে গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত হবে বিআরটির রুট।

গত ১৬ জুন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেট্রোরেল ও বিআরটির নির্মাণ কাজের সূচনার মধ্য দিয়ে এ প্রকল্প দুটি নতুন গতি পাবে এবং নির্দিষ্ট সিডিউল অনুযায়ী কাজ এগিয়ে যাবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে।

২০২০ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত আসতে সময় লাগবে ৩৮ মিনিট। মেট্রোরেল প্রকল্পটি ৮টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে প্যাকেজ-১ এর (ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন) ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬টি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান কাজ শেষ হয়েছে।

মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ কিলোমিটার। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এমআরটি-৬ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এপ্রকল্পে জাইকা ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়তা করছে। বাকি অর্থ প্রদান করছে বাংলাদেশ সরকার।

দ্রুতগতির মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মিরপুর ও ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাতায়াত করবে। প্রতি চার মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে থেমে প্রতি ঘণ্টায় এটি ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এই ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে পল্লবী, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ ও ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁও, রূপসী বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, তোপখানা রোড ও বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত চলাচল করবে।

যাত্রা পথে ১৬টি স্টেশন থাকবে। এগেুলো হলো উত্তরা নর্থ, সেন্ট্রাল ও সাউথ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকার সঙ্গে চুক্তি সই করেছে সরকার। অন্যদিকে বিআরটি চারটি প্যাকেজের আওতায় সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে দুটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ডিপো নির্মাণ কাজ চলছে। ২০১৮ এর ডিসেম্বরে বিআরটি চালু হবে বলেও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
২৬ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে