ঢাকা : ডিবি কার্যালয়ে রাতের বেলায় টানা ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে মানসিকভাবে ‘আপসেট’ হয়ে পড়েছেন নিহত মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। গণমাধ্যমের কাছে তার নিকটজনেরা এমনটাই জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ডিবি পুলিশ বাবুল আক্তারকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর শনিবার বিকেলে বাসায় ফিরেন। ফিরে গোসল করেই দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন তিনি।
রোববার বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন জানান, বেলা দেড়টায়ও রুম থেকে বের হননি তিনি।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার বিকেলে বাসায় ফেরেন বাবুল। এরপর গোসল করে দরজা বন্ধ করে ঘুমান।
এদিকে বাবুল আক্তারের শ্যালিকা শায়লার স্বামী সাঈদুর রহমান বলেন, বাবুল ভাই এখনো রুম থেকে বের হননি। উনি মানসিকভাবে আপসেট।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে বাবুল আক্তারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ক্রিমিনালদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো বাবুলের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিতু হত্যায় এসপি বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে মামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদি বাবুল আক্তারের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে নজরদারিতে নয় সরাসরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১টার দিকে বাবুল আক্তারকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরদিন শনিবার বিকেলে শ্বশুরের বাসায় ফেরেন।
গতকাল বাবুল আক্তার বলেন, আমাকে কেউ গ্রেপ্তার করেনি। যেহেতু আমি মামলার বাদী, তাই তদন্ত সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমাকে ডাকা হয়েছিল।
গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২৬ জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম