ঢাকা : বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে তাকে ‘রাজনীতি থেকে বিতাড়িত’ করতে চাচ্ছে সরকার। যারা রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে পারে না, সেই কাপুরুষরা চক্রান্ত করে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৮ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তারেক রহমানের আগে সরকার খালেদা জিয়াকে নির্বাসিত করার ষড়যন্ত্র করছে। এরপরও নিরাপদ বোধ করছে না। আওয়ামী লীগ ভাবছে, তারেক রহমান ফিরে আসবেন। সে কারণেই বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়, ভবিষ্যতে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে তারেক রহমানের ওপর একের পর এক আঘাত আসছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আমরা না বুঝলেও শেখ হাসিনা ভালো করে জানেন তারেক রহমান কি। সে জন্য এক ঘুমের ওষুধে কাজ হয় না, মাঝে মাঝে ডাবল ওষুধ খেতে হয়।
বিএনপিকে নির্মূল করা দুরুহ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই নেতা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে খালেদা জিয়া আছেন, তারেক রহমান আছেন, ভবিষ্যতে জায়মা রহমান (তারেক রহমানের মেয়ে) আছে। কিন্তু শেখ হাসিনার পর তার বংশধরের কেউ নেই। যাকে আনতে চায় (প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে) পাবলিকও খায় না, দলের লোকও খায় না।
সম্প্রতি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) জরিপকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যদি জনপ্রিয়তা বেড়ে থাকে, তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিক। তারা বিরোধী দলেও বসতে পারবে না। আমি চালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা একবিন্দু বাড়েনি।
জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য গোপালগঞ্জের যেকোনো আসন থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন গয়েশ্বর।
যুবদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রস্তুতি নিন। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত দিতে হবে। মুর্খের সঙ্গে পাণ্ডিত্য দেখিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করা যাবে না। বাংলাদেশে কখনো বিনা রক্তপাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বক্তব্য রাখেন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, খলিলুর রহমান, আলী আকবর চুন্নু, যুগ্ম সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম