শনিবার, ০২ জুলাই, ২০১৬, ০১:১২:৫৯

গুলশানের প্রত্যক্ষদর্শী: ‘অনবরত গুলির শব্দ, আমরা কান্নাকাটি শুরু করি’

গুলশানের প্রত্যক্ষদর্শী: ‘অনবরত গুলির শব্দ, আমরা কান্নাকাটি শুরু করি’

নিউজ ডেস্ক : গুলশানের একজন বাসিন্দা রাশিলা রহিম ঢাকার গোলাগুলির ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। যে রেস্টুরেন্টে জঙ্গীরা বেশ কিছু মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে তার খুব কাছেই এক ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি।

তিনি বিবিসিকে জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি বাসা থেকে বেরুতে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে কোন একটা গন্ডগোল চলছে।

“আমাকে আমার ড্রাইভার বললেন, আপা আপনি এখন বেরুবেন না, নীচে গোলাগুলি চলছে।”

রাশিলা রহিম জানান, এরপর তিনি নিজেও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।

“তারপর দেখি আমার ড্রয়িং রুমের জানালার কাঁচে ফেটে গেল। তারপর থেকে অনবরত গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর আমার মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। আমরা সবাই কান্নাকাটি শুরু করি। কারণ খুবই আতংকজনক একটা পরিস্থিতি। রাত ন’টার পর থেকে অনবরত গান শট শুনতে পাচ্ছি। টু মাচ টু টেক।”

একটু আগে আমি সাহস করে বেলকনিতে বেরিয়েছিলাম। দেখি প্রচুর পুলিশ। অনেকক্ষণ ধরেই কেবল দেখছি পুলিশ আর পুলিশের গাড়ীর আওয়াজ। কিন্তু পরিস্থিতি আগের মতোই। তিনি বলেন, রাত দশটার দিকে সেখানে মাইকিং করে পুলিশ যারা ভেতরে ছিল তাদের বাইরে বেরিয়ে আসতে বলছিল। এরপর আবার গোলাগুলি শুরু হয়।”

এদিকে অস্ত্রধারীদের হামলায় বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান।

শিবলী নোমান জানান, ওই রেস্টুরেন্টে গোলাগুলির সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

উল্লেখ্য, গুলশানের হলি আর্টিজেন রেস্টুরেন্টেতে সন্ত্রাসীরা বিদেশিসহ কমপক্ষে ২০জন নাগরিককে জিম্মি করে রেখেছে। রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকেই ৮-৯ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রথমে পুলিশের ওপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে। হোটেলের আশপাশ এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাবের বিশেষ ইউনিট হোটেল থেকে জিম্মিদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে।

২ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে