নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ইশরাত আখন্দ। সেখানেই অস্ত্রধারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন তিনি। এরপরের বারো ঘণ্টার মতো সময়ের বিভীষিকার পর জানা যায় ইশরাত আখন্দকে হত্যা করা হয়েছে।
অস্ত্রধারীদের হাত থেকে জীবন নিয়ে পালানো গুলশানের হলি আর্টিসানের এক কর্মী খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন ইশরাতের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মী বর্ণনা করেছেন সেই সময়ে যা ঘটেছিল।
জিম্মি থাকা অবস্থায় একসময় ইশরাতের দিকে এগিয়ে আসে অস্ত্রধারীরা। এক অস্ত্রধারী তাকে প্রশ্ন করেন, ‘তোমার মাথায় হিজাব নেই কেন?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশেরই নাগরিক। কোনোদিন হিজাব পরিনি।’
জবাব শুনে তার নাম জানতে চায় সন্ত্রাসীরা। ইশরাত আখন্দ নিজের নাম বলেন। তা শুনে সন্ত্রাসীদের একজন বলেন, ‘ও বাঁচার জন্য ধর্মের নাম নিচ্ছে। মুসলমান হলে হিজাব পরেনি কেন? মাথায় কাপড় নেই কেন?’
দুই সন্ত্রাসীর মধ্যে এ বিষয়ে মৃদু তর্ক চলার মধ্যেই আরেক সন্ত্রাসী সেখানে এসে বলেন, ‘আমাদের হাতে কিন্তু বেশি সময় নেই।’
এরপরই..... ইশরাত শুধুই এখন স্মৃতি। সেদিনের সেই রাতে অন্যদের সাথেও তাকে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা।
ইশরাতের বন্ধুরা জানান, ও নিয়মিত ‘আই অ্যাম হ্যাপি টুডে’ বলে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিতে। কারোর ক্ষতি করেননি তিনি। তিনি পরিস্থিতির শিকার।
৫ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস