বুধবার, ০৬ জুলাই, ২০১৬, ০২:৪৩:১০

‘আমি নিজে এসে রেস্টুরেন্টের রক্তমাখা ফ্লোর মুছে দিয়ে যাবো’

‘আমি নিজে এসে রেস্টুরেন্টের রক্তমাখা ফ্লোর মুছে দিয়ে যাবো’

নিউজ ডেস্ক : ‘প্লিজ রিটার্ন, ইফ নিড বি, আই উইল পারসোনালি কাম অ্যান্ড ওয়াইপ অল দি ব্লাডস্টেইন অব দি ফ্লোর অব মাই ফেভারেট প্লেস’ ( দয়া করে ফিরে এসো, যদি প্রয়োজন হয়, আমার পছন্দের জায়গাটিতে আমি নিজে এসে রেস্টুরেন্টের রক্তমাখা ফ্লোর মুছে দিয়ে যাবো)।

রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর ৭৯ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত হলি আর্টিসান বেকারির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এভাবেই লিখেছেন ওই রেস্টুরেন্টের একজন গ্রাহক। তার মতো অসংখ্য গ্রাহকের জবাবে রেস্টুরেন্টের মালিকানার সাথে জড়িতরা বলেছেন, ‘আমরা ফিরে আসবো, হলিকে আমরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য নয়, ভালবাসার অনুভূতিস্থল হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই।’

লেকের মনোরম পরিবেশে সুস্বাদু বেকারি আইটেমসহ খাবার দাবারের জন্য এই রেস্টুরেন্টটির সুপরিচিতি থাকলেও গত ১ জুলাই জঙ্গি হামলার ঘটনার পর শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও সবার মুখে মুখে নামটি ঘুরপাক খাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোগল সার্চ দিয়ে অনেকেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টটি সম্পর্কে জানতে চাইছেন।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৪ জুন হলি আর্টিসানের যাত্রা শুরু হয়। লিলিয়ান, তার স্বামী পরাগ ও পরাগের বন্ধু সাদাতের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানার সাথে যারা জড়িত তারা ব্যবসায় মুনাফা করবেন এমনটি ভেবে ব্যবসা শুরু করেননি। তারা প্রত্যেকেই তাদের যোগ্যতা অনুসারে অন্য কোথাও চাকরি বা ব্যবসা করলে কম পরিশ্রমে বহু টাকা রোজগার করতে পারতেন। শুধুমাত্র ভালবাসা ও পরিশ্রম দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সুপরিচিত করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।

শুক্রবার জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা, জাপানি, ইতালি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভতু আমেরিকানসহ ১৮ বিদেশি ও ২ বাংলাদেশি  এবং ৬ জঙ্গিসহ ২৮ জনের নিহতের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী আলোচিত নাম আর্টিসান বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।

ঘটনার পর থেকে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ রয়েছে। রেস্টুরেন্টটিতে নিয়মিত আসতেন এমন অনেক গ্রাহক রেস্টুরেন্টটি আবার আগের মতো  চালু হতে দেখতে চান। তারা এ বেকারির নিজস্ব পেজে সেদিনের নৃশংস হামলা ও নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি ভালবাসার নানা অনূভূতি ব্যক্ত করেন।
 
নাসিরুল ইসলাম নামে একজন ‘হলি ঢাকা’ শিরোনামে রেস্টুরেন্টটির নিজস্ব ওয়েব পেজে রেস্টুরেন্টটির ১৫২টি ফটোগ্রাফ  পোস্ট করেছেন।

রুবাইয়া আহমেদ নামে একজন লেখেন, ‘আমি আমার ৪০তম জম্মদিবস ওই রেস্টুরেন্টে ডেভিল চকলেট কেক খেয়ে পালন করতে চেয়েছিলাম। আমি এখনও এমনটাই ভাবছি।

রেস্টুরেন্টটি সব ঝামেলা মিটিয়ে কবে খুলবে তা জানা নেই, তবে অসংখ্য গ্রাহক শিগগিরই এটিকে আবার জনসমাগম স্থলে পরিণত দেখতে চান। সন্ত্রাসের কাছে হার না মেনে ভাব ভালবাসার স্থান হিসেবে দেখতে চান শুভাকাঙ্খীরা।’ -জাগো নিউজ

৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে