বুধবার, ০৬ জুলাই, ২০১৬, ০৯:৪৯:২৭

‘মানুষকে মানুষ এভাবে হত্যা করতে পারে, বিশ্বাসই হচ্ছিল না’

‘মানুষকে মানুষ এভাবে হত্যা করতে পারে, বিশ্বাসই হচ্ছিল না’

নিউজ ডেস্ক : অস্ত্রধারীরা গুলশানের হলি আর্টিজানে যাদেরকে হত্যা করেছে তাদের বেশীর ভাগকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটেছে। তবে এদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রথমে গুলিও করা হয়। পরে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আর জঙ্গিদের মৃত্যু হয়েছে সেনা কমান্ডোদের গুলিতে।

রোববার নিহতদের মৃতদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ময়না তদন্ত করা হয়। আর এ জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফরেনসিক বিভাগের একটি টিম নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল সিএমএইচে যান। অন্য চিকিৎসকরা হলেন- সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও কবীর সোহেল। মর্গ সহকারী হিসেবে ছিলেন রামু, ভুলু, জাহাঙ্গীর ও আজিজ।

এদের মধ্যে একজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, ‘জীবনে অনেক লাশ কেটেছি, কিন্তু এই রকম লাশ কখনো দেখিনি। মানুষকে মানুষ এভাবে হত্যা করতে পারে, সেটা বিশ্বাসই হচ্ছিল না। বেশীর ভাগ লাশেরই গলা কাটা এবং শরীরে গুলির দাগ।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের হলি আর্টিজেন রেস্টুরেন্টে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

এ সময় সেখান থেকে ২০টি মৃতদেহ বের করা হয়, যাদের রাতেই গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।  নিহতদের ১৭ জনই বিদেশি এবং ৩জন বাংলাদেশি।

এছাড়া হামলার শুরুতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। কমান্ডো অভিযানে ছয় বন্দুকধারী নিহত হয় এবং ক বন্দুকধারীকে আটক করা হয়।
৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে