মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গুলশান-১ নম্বরের ডিসিসি মার্কেটের সামনে একটি পরিত্যাক্ত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো গুলশান জুড়ে। তবে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এসে ব্যাগটি উদ্ধার করার পর সেখানে বোমা সদৃশ কিছু পায়নি। ওই ব্যাগটি ছিল জামা-কাপড় দিয়ে ভরা।
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পাঁচদিনের ওই এলাকায় পরিত্যাক্ত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে, স্থানীয় লোকজন রাসম্তার পাশে পরিত্যাক্ত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেছে পুলিশকে খবর দেয়। এরপরই গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এসে পুরো এলাকাটি ঘিরে রাখে। ধারণা করা হচ্ছিলো পরিত্যাক্ত ওই ব্যাগে বোমা রাখা আছে।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোম্ব ডিস্পোজাল টিমের প্রধান ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছিলেন, বাহ্যিক ভাবে ব্যাগটিতে তেমন কোন বড় ধরণের বিষ্ফোরক আছে বলে না মনে হলেও; পুলিশ তা নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করছে।
গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে একদল সশস্ত্র যুবক অতর্কিত ভাবে ঢুকে পড়ে এবং অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি প্রায় ২৮ জনকে নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে।
রাতভর উৎকণ্ঠার পর সকাল সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব সম্মিলিত সামরিক দল।
সাড়ে ১২ মিনিটের এ অভিযানে অভিযানে এক জাপানি ও দুই শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ মোট ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের গুলিতে নিহত হয় ৬ জঙ্গি।
অভিযান শেষে তল্লাশি চালিয়ে অপারেশন থান্ডারবোল্ট’র সদস্যরা রাতেই নিহত হওয়া ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।-চ্যানেল আই
৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস