বুধবার, ০৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:১৬:৩৭

নিবরাসের মা-বাবা লজ্জিত, জাতীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন

নিবরাসের মা-বাবা লজ্জিত, জাতীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর ভিআইপি এলাকা গুলশান-২ এ অবস্থিত হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত নিবরাস ইসলামের বাবা-মা স্বজনহারা মানুষ, দেশবাসী ও রাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি দৈনিকের পক্ষ থেকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর বাবা নজরুল ইসলাম ও মা লায়লা বিলকিস একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। যারা তরুণদের বিপথগামী করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করেছেন।

নিবরাসের পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিটি বলা হয়, ‘আমরা লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের ছেলে নিবরাস সৎ, বিনয়ী ও শান্ত স্বভাবের ছিল। উত্তরায় তার যারা সহপাঠী ছিল, তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে একই রকম উত্তর পাওয়া যাবে। সে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। সেখান থেকে উন্নত শিক্ষার জন্য মালয়েশিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে সে বাংলাদেশে আসে এবং ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে নিখোঁজ হয়। যাওয়ার সময় সে একটি চিরকুট লিখে যায়। বলে তার জন্য দোয়া করতে। সে ফিরে আসবে। ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আমরা দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে এ ব্যাপারে জানাই। তার সঙ্গে আরও যারা নিখোঁজ হয় তাদের পরিবারও জিডিতে নিবরাসের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে। গত পাঁচ মাস সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েও নিবরাসকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফেসবুকে তাকে ফিরে আসার জন্য আমরা অনেক অনুনয়-বিনয় করি। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। অবশেষে গত ২ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির হামলায় সে জড়িত ছিল বলে আমরা জানতে পারি। আমাদের ছেলে এই হামলায় জড়িত বিষয়টি জানতে পেরে আমরা লজ্জিত, দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, বন্ধুকে হারিয়েছেন, নিবরাসের বাবা-মা হিসেবে তাঁদের প্রতি শোক প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। নিবরাস নিজে হাতে ভাত মেখে খেতে পারত না। সেই ছেলের হাতে যারা অস্ত্র, গোলা-বারুদ তুলে দিল, আল্লাহর দরবারে তাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, যারা নিবরাসের মতো তরুণদের বিপথগামী করছে, তাদের প্রত্যেককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে কঠোর সাজা দেবে। সবশেষে আমরা আবারও ক্ষমা চাই, পুরো জাতি, দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীর কাছে।’
৬ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে