বুধবার, ০৬ জুলাই, ২০১৬, ০৬:২৬:৩৫

গুলশানে ৩ হামলাকারীর ফেসবুক বন্ধ করলো কে?

  গুলশানে ৩ হামলাকারীর ফেসবুক বন্ধ করলো কে?

ঢাকা : রাজধানীর হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত হওয়া তিনজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ (ডিঅ্যাক্টিভেট) করে দেয়া হয়েছে।  কারা তাদের ফেসবুক বন্ধ করেছে তা কিন্তু কেউ জানে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, হামলাকারীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকার কোনো অনুরোধ করেনি।  সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হলে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অথবা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার তা জানতে পারতো।’

১ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যারাতের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জিম্মি ঘটনার অবসান হয় শনিবার সকালে।  পাঁচ হামলাকারীর পাশাপাশি কমপক্ষে ২০ জন জিম্মি নিহত হয়।  

নিহত হামলাকারীদের মধ্যে তিনজন হচ্ছে নিব্রাস ইসলাম, মীর সাবিহ মুবাশ্বির এবং রোহান ইমতিয়াজ।  এ তিনজনকে তাদের সহপাঠীরা ফেসবুকের মাধ্যমে শনাক্ত করেছে।

আইএসের নিউজ এজেন্সি আমাক গুলশানে পাঁচ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করার পর ২ জুলাই বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী বন্ধু ও পরিচিতজনরা হামলাকারীদের ছবি মিলিয়ে তাদের শনাক্ত করে।

৪ জুলাই সোমবার থেকে সেই তিনজনের ফেসবুক পেজ আর দেখা যাচ্ছে না।  জনমনে মনে প্রশ্ন, তাহলে কারা তিন হামলাকারীর ফেসবুক প্রোফাইল বন্ধ করলো?

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই তিন হামলাকারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।  ধারণা করা হচ্ছে, তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হামলাকারী অথবা তাদের সহযোদ্ধারা তা বন্ধ করে দিয়েছে।  তবে বিষয়টি অনেকেই রহস্যেঘেরা বলে মনে করছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।  গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ওই রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনায় ডিবির সহকারী (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন নিহত হন।

হামলাকারীরা রাতেই দেশি-বিদেশিসহ ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করে।  শনিবার সকালে রেস্টুরেন্টটিতে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়।  অভিযানে ৬ হামলাকারী নিহত হয় বলে আইএসপিআইআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আর্টিজানের মালিকের দাবি, ৬ জনের একজন সাইফুল চৌধুরী।  তিনি আর্টিজানের কুক ছিলেন। এরই মধ্যে বাকি ৫ হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে।

তারা হলেন নিব্রাস ইসলাম, রোহান ইমতিয়াজ, মীর সামিহ মোবাশ্বির, খায়রুল ইসলাম পায়েল এবং শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।  আত্মীয় ও পরিচিতজনরা তাদের ছবি দেখে শনাক্ত করেন।

৫ হামলাকারীর প্রত্যেকেই বেশ কিছুদিন আগে বাসা ছেড়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়।  এদের তিনজন রাজধানীর বিভিন্ন নামিদামি স্কুল-কলেজে পড়েছে বলে তাদেরই বন্ধুরা দাবি করেছে।

এদের মধ্যে দুজন মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো।  তাদের দুজনের একজন নিব্রাস ইসলাম।  নিব্রাস খুব একটা ধার্মিকও ছিল না।
৬ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে