বুধবার, ০৬ জুলাই, ২০১৬, ১০:১৫:২৬

জঙ্গিরা কাউকে বাংলায় বলেছে, জিম্মিদের মেরে ফেলা হয়েছে : মনিরুল ইসলাম

 জঙ্গিরা কাউকে বাংলায় বলেছে, জিম্মিদের মেরে ফেলা হয়েছে : মনিরুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলাকারী জঙ্গিরা বাংলায় কাউকে বলেছে, জিম্মিদের মেরে ফেলা হয়েছে।  

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম তার কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ওইদিন হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গিদের হাতে আটকে পড়া উদ্ধার হওয়াদের একজন পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছেন।


মনিরুল বলেন, জঙ্গিরা গত শুক্রবার হামলার পরই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলেছিলেন।  হত্যাকাণ্ড শেষে একটি কল করা হয়েছিল।  তখন জঙ্গিরা কাউকে বাংলায় বলেছে যে, জিম্মিদের ফেলা হয়েছে।

ওইদিন জঙ্গিরা ১৭ বিদেশি ও তিন বাংলাদেশিকে গলা কেটে হত্যা করে।  বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭জন জাপানের এবং একজন ভারতের নাগরিক।
 
উল্লেখ্য, শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।  গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ওই রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনায় ডিবির সহকারী (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন নিহত হন।

হামলাকারীরা রাতেই দেশি-বিদেশিসহ ২০ জনকে গলা কেটে হত্যা করে।  শনিবার সকালে রেস্টুরেন্টটিতে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়।  অভিযানে ৬ হামলাকারী নিহত হয় বলে আইএসপিআইআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আর্টিজানের মালিকের দাবি, ৬ জনের একজন সাইফুল চৌধুরী।  তিনি আর্টিজানের কুক ছিলেন। এরই মধ্যে বাকি ৫ হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে।

তারা হলেন নিব্রাস ইসলাম, রোহান ইমতিয়াজ, মীর সামিহ মোবাশ্বির, খায়রুল ইসলাম পায়েল এবং শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।  আত্মীয় ও পরিচিতজনরা তাদের ছবি দেখে শনাক্ত করেন।

৫ হামলাকারীর প্রত্যেকেই বেশ কিছুদিন আগে বাসা ছেড়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়।  এদের তিনজন রাজধানীর বিভিন্ন নামিদামি স্কুল-কলেজে পড়েছে বলে তাদেরই বন্ধুরা দাবি করেছে।  এদের মধ্যে দুজন মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো।  
৬ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে