নিউজ ডেস্ক : পাঁচ দিন আগে গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ২২ জন নিহতের ঘটনাস্থল গুলশানে বহুতল বিপণীবিতান পিংক সিটিতে পুলিশের আকস্মিক তল্লাশিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের এই মার্কেট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বলে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন জানিয়েছেন।
এরপর ওই বিপণীবিতানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা লোকজন দ্রুত চলে যেতে শুরু করে। বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ দোকান-পাট।
মো. সালাউদ্দিন বলেন, গত শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর থেকে ওই এলাকায় ‘বিশেষ’ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসাবে পিংক সিটিতে রাতে যখন অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা ছাড়াও তল্লাশি করা হচ্ছিল, তখনই লোকজন চলে যেতে শুরু করে। আমরা কাউকে চলে যেতে বলিনি বা দোকানপাট বন্ধ করতে বলিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার হলি আর্টিসান বেকারি নামের রেস্টুরেন্টে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডে প্রাণ যায় ডিবির এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খানের।
পরে শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জিম্মি সঙ্কটের অবসানের পর দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, সন্দেহভাজন ছয় হামলাকারী নিহত হয়েছে এবং একজন ধরা পড়েছে। অবশ্য নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে পরে হামলাকারী হিসেবে সনাক্ত করা হয়।
৭ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস