রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬, ০৫:৪৮:০৯

সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো

সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জিম্মি সংকট অবসানের পর অনেকের আশঙ্কা ছিল, যেকোনো সময় আবারো জঙ্গি হামলা হতে পারে।  গোয়েন্দা তথ্যও ছিল, যেকোনো মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণস্থানে হামলা হতে পারে।

রক্তক্ষয়ী পরিবেশ তৈরির ছক তৈরি কষছে জঙ্গিরা। এর ওপর ভিত্তি করেই ঈদের আগে থেকেই সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে সতর্ক করা হয়।  

ঈদের ছুটিতে কূটনৈতিক এলাকাসহ রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছিল।  গত বুধবার পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসির অফিসে আইজিপির নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।

সেখানে পুলিশের সব ইউনিটের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।  গুলশানে জঙ্গি হামলার পর কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়।

ঈদের ছুটিতে পুলিশের আর্মাড ভেহিকল ক্যারিয়ার (এপিসি) পুরো কূটনৈতিক এলাকায় টহলে ছিল।  তবে রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানের মধ্যে ঈদের দিন সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় সেই আশঙ্কা সত্যি হলো।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, এখনই যদি জঙ্গিদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে না পারলে আগামীতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, জঙ্গিগোষ্ঠি বড় ধরনের কোনো বিপণিবিতান বা জনসমাগমে হামলা চালাতে পারে- এমন তথ্য তাদের কাছে ছিল।

এ জন্য রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেশজুড়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ-সংক্রান্ত সব নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত রোববার পুলিশ সদর দপ্তরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকও করেন।

লঞ্চ টার্মিনাল, বাস টার্মিনাল বা রেলস্টেশনেও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল।

সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল কি-না তা নিয়েও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।  

তবে জঙ্গিদের রুখতে প্রয়োজনীয় করণীয় নিয়ে আলোচনা করছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা।  বর্তমান পরিস্থিতিতে সমন্বিত গোয়েন্দা তৎপরতার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
১০ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে