রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬, ০৮:২৭:৩৪

আইএসের অজানা তথ্য

আইএসের অজানা তথ্য

ওয়ারেছুন্নবী খন্দকার : নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর বিশ্ব রাজনীতি নানা দিকে মোড় নেয়।  বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার নামে অতি প্রতাপশালী পশ্চিমা জোট তুলনামূলক কম শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর উপর দমননীতি চালাতে বিশ্বজুড়ে শান্তির পরিবর্তে অস্থিরতা ডেকে আনে।

বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আগ্রাসনের পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) নামক একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের উত্থান হয়।  সারা বিশ্বকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে এই সংগঠনটি।

ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বজুড়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে আইএস। জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, প্যারিস এবং সর্বশেষ বাংলাদেশে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানোর দায় স্বীকার করেছে আইএস।

স্বভাবতই প্রশ্ন ‍উঠেছে শরিয়াহ শাসন প্রতিষ্ঠার নামে কেন মানুষ হত্যা? মুসলমান হয়েও কেন মুসলমান হত্যা? মুসলমানদের শত্রুভাবাপন্ন ইসরাইলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কী? তাদের অর্থের যোগানদাতা কারা? তারা এতো অস্ত্র পায় কোথায়?

এসব প্রশ্নের উত্তর জানা নেই অনেকের। তাই প্রতাপশালী এই সংগঠনটির কর্মকাণ্ড ক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে আইএস= ইসলামিক স্টেট ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া নাকি ইসরাইলি সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস?

আইএসের প্রধান আবু বকর আল বাগদাদী যিনি নিজেকে খলিফা দাবি করেছেন।  তবে তার প্রকৃত নাম আবু মুসাব আল-জারকাওয়ি।  যার নাম সর্বপ্রথম উঠে আসে ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মিলেনিয়াম উদযাপনের সময় জর্ডানের র‌্যাডিসন স্যাস হোটেলে হামলার ঘটনায়।  সেখানে তিনি প্রবেশ করেছিলেন আহমেদ ফাদিল আল-খালাইয়াহ নামে।

বাগদাদীর প্রকৃত নাম 'শামউন ইয়লুত'।  তিনি ফিলিস্তিনে বসবাসকারী ইহুদি বাবা-মায়ের সন্তান। পরে তার পরিবার জর্ডানে বসবাস শুরু করে। আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ’র সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা দলিল-দস্তাবেজ থেকে এই তথ্য বেরিয়েছে।

এডওয়ার্ড স্নোডেন উদ্ঘাটন করেন যে, ব্রিটিশ, আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স ও ইসরাইলের মোসাদ একসঙ্গে কাজ করেছে ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএস) তৈরিতে। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই গ্লোবাল রিসার্চ.সিএ-তে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

স্নোডেন বলেছেন, ‘এই তিন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে এমন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন সৃষ্টি করেছে যারা এক জায়গা থেকে বিশ্বের সব ধরনের চরমপন্থিদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। যেখানে তারা এমন একটি কৌশল অবলম্বন করবে যা হবে ‘ভীমরলের বাসা’র মতো।’

স্নোনেডের ফাঁস করা একটি দলিল দস্তাবেজের বরাতে গ্লোবাল রিসার্চ জানিয়েছে, ইসরাইলের পরিকল্পনা হচ্ছে, ‘ইহুদি রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে এর সীমান্তে শত্রু তৈরি করতে হবে।’

স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্য অনুযায়ী, যাজক আবু বকর আল বাগদাদী সামরিক প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা নিয়েছিল মোসাদের কাছ থেকে। এছাড়া ধর্মশিক্ষা ও আকর্ষণীয় বক্তব্য দেয়ার কৌশলও আয়ত্ব করেন মোসাদের কাছ থেকে।

ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলে আইএস সেনাদের আক্রমণ মার্কিন, ন্যাটো ও ইসরাইলী বাহিনীর সেনা-গোয়েন্দাদের সমর্থনে ও সহযোগিতায় হয়েছে। সিরিয়ায় যেটা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঘটেছে। ইসরাইলী সেনাবাহিনী সরাসরি সমর্থন করে আইএসকে ঘাঁটি গাড়তে সহায়তা করেছে।  (দ্য মিলেনিয়াম রিপোর্ট, রিপোর্টার জন বোভে)।

২০১৪ সালের জুন, আইএসআইএস- আইএস নাম ধারণ করে। যাজক থেকে খলিফা নাম ধারণ করলেন আবু বকর আল-বাগদাদী। যিনি আগে ড. ইব্রাহিত ও আবু দুয়া নামেও পরিচিত ছিলেন।

তিনি লিখেছেন, যখন আল কায়দা নেতারা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারী রূপে পরিচিতি লাভ করে, বিশ্বায়নের পথে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তখন গণমাধ্যমগুলো একটি জিনিস প্রচার করতে ব্যর্থ হয় যে, তারা সিআইএ, ব্রিটেনের এমআই১৬ এবং পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষিত হয়।

যারা পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিরূপ হয়ে কাজ করবে। আল-জারকাওয়ি (বাগদাদী) তখন সিআইএয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ তারিখে এ তথ্য নিশ্চিত করেছিল ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিল।

জর্জ ডব্লিউ বুশ, ২০০৪ সালের জুন মাসের এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছিলেন যে, আল-জারকাওয়ি’র অভিযান হচ্ছে ‘ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা’র বীজ বপন করা। অর্থাৎ তিনি জারকাওয়ির উদ্দেশ্য সম্পর্কে গভীরভাবে জানতেন।

২০০৪ সালের ১ জুনের ওই সংবাদ সম্মেলনে জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছিলেন, ‘আপনারা জানেন, আমি সন্ত্রাসবাদের ভবিষ্যৎ বাণী করতে চাই না।  আমি শুধু হত্যাকারীদের প্রকৃতি বুঝতে চাই।  জারকাওয়ি নামক এই ব্যক্তি আল কায়দার সহযোগী। ‍

যিনি বাগদাদে ছিলেন, সেখানে সাদ্দাম হোসেনের পতনের জন্য কাজ করেছিল।  তিনি এখন ইরাকে বড় আসন গড়ে তুলেছেন।  আপনারা হয়ত জানেন, তার অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরাকের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ‘ঠাণ্ডা মাথা’ খুনের বীজ বপণ করা।  

আমাদের উচিত তাকে সাহায্য করা, যাতে ইরাকের জনগণের ভাগ্য আরো উজ্জ্বল হয়। বুশ সময় সময় জারকাওয়িকে ‘এই লোক’ সম্বোধন না করে ‘আমাদের লোক’ সম্বোধন করেছিলেন।’

২০০৪ সালে হানাদার মার্কিন ও ব্রিটেন মূলত : ইরাকের জনগণকে রক্ষার জন্য ইরাকে গিয়েছিল বলে বিশ্ববাসীকে জানায়।  যাতে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়। সে সময় ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে চুক্তি করে একটি প্রতিরূপ সন্ত্রাসী সংগঠনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সংগঠনগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার।  

গণমাধ্যমে যে বিষয়টি কদাচিত এসেছিল যে, সেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট আল কায়দার সহযোগী সন্ত্রাসীদের সহায়তা করেছিল।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আইএস গড়ে ওঠার পেছনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সহযোগিতার আভাস পাওয়া যায়।

বাগদাদের অলিগলি থেকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এই সন্দেহ রয়েছে যে, জঙ্গিগোষ্ঠীটির পেছনে রয়েছে সিআইএ।  ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী বাহা আল আরাজি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘আমরা জানি, এটি কে তৈরি করেছে।’

হায়দার আল আসাদি নামের একজন ইরাকি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘আইএস সুস্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি। আইএসকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আবারও আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে এই সন্দেহ আছে। কোনো কোনো পশ্চিমা বিশ্লেষক মনে করছেন, ইরাকের পর এবার সিরিয়ায় আগ্রাসন চালাতে আইএসকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটনভিত্তিক খ্যাতিমান ফ্রিল্যান্স লেখক মাইক হুইটনি ওই সময় নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো মার্কিনিদের বিভ্রান্ত করতে যাচ্ছেন ওবামা।  তিনি আইএস জঙ্গিদের দমনের কথা বলছেন।

কিন্তু তার মূল উদ্দেশ্য মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি দীর্ঘ-মেয়াদি যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়। অঞ্চলটিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি, বিদ্যমান সীমান্ত নিশ্চিহ্ন করা ও ক্রীড়নক সরকার বসাতে ওবামা প্রশাসন তৎপর।

হুইটনির দাবি, আরেকটি রক্তক্ষয়ী আগ্রাসনের পথ সুগম করতেই মূলত পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে তাদের সহযোগীরা আইএস সৃষ্টি করেছে।

বিশ্লেষক প্যাট্রিক মার্টিনের ভাষ্য, আইএস হলো মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের অজুহাত।

ইসরাইলের অস্ত্র

ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী ‘হাসিদ শাবি’ দেখতে পেয়েছে যে, আইএস ইসরাইলের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করছে।  ইরাকের আনবার প্রদেশে অস্ত্র মজুদের সময় হাসিদ শাবির সদস্যরা তা প্রত্যক্ষ করেন।  ঘটনাটি আল-মায়েদিন টেলিভিশন ও ফারস নিউজ এজেন্সি প্রচার করেছে ২৩ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে।

তার আগের মাসে এ খবরও প্রচারিত হয়, ইরাকের সন্ত্রাস দমন বাহিনী চার বিদেশিকে গ্রেফতার করে যারা যুক্তরাষ্ট ও ইসরাইল থেকে সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে ইরাকে গিয়েছিল। যারা আইএসএর সঙ্গেও যুক্ত ছিল।

ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরাকের প্রবীণ আইন কর্মকর্তা ওয়াহাব আল তাঈয়ি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, ইসরাইলী মিলিটারি আইএসকে ট্রেনিং দিচ্ছিল সিনাই উপদ্বীপে মিসরে সন্ত্রাসী আক্রমণের জন্য।

ডিভাইড অ্যান্ড রুল

ব্রিটিশদের নীতি ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ বা ভাগ কর, শাসন কর।  যে নীতি তারা ভারতবর্ষেও প্রয়োগ করেছিল। ইরাককে ভাগ করে অনুগতদের দিয়ে শাসনব্যবস্থার প্রচলন করতে পারলে যেকোনো স্বার্থ হাসিল করতে পারবে ইসরাইল-মার্কিন-ব্রিটেন জোট।

যদি সেখানে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের শাসন ব্যবস্থা কায়েম রাখা যায় তবে সেই অজুহাতে যেকোনো সময় মার্কিন সেনাবাহিনী সেখানে প্রবেশ করতে পারবে। অন্তত: অনুসন্ধানী সাংবাদিক, গার্ডিয়ানের প্রদায়ক ও গবেষক নাফিস আহমেদের লেখায় বিষয়টি উঠে এসেছে।

নাফিস আহমেদ, ‍যিনি ৯/১১ থেকে শুরু করে এ যাবতকালের অধিকাংশ সন্ত্রাসী হামলার অনুসন্ধানে এদিক-সেদিক ছুটে বেড়িয়েছেন। ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মিডিয়াম ডটকমে একটি নিবন্ধ লিখেন। তার নিবন্ধের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-

‘২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রচ্ছন্নভাবে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠনগুলোকে। যাতে সেখানে শিয়াদের দিয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সহজ হয়।

এশিয়ান টাইমস ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা সূত্রের একটি সাক্ষাৎকার নেয়, যেখানে তারা নিশ্চিত করে যে, ‘বিদ্রোহীরা আগের বাথ পার্টি’র সদস্য। যাদের আল-কায়েদা নিয়োগ দেয় এবং প্রশিক্ষণ দেয়-আবু মুসাব জারকাওয়ির নেতৃত্বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাদের পাকিস্তানের তৈরি অস্ত্র সরবরাহ করে।

রাইফেল, রকেট লাঞ্ছার, গ্রেনেড, গুলি ইত্যাদি জাহাজীকরণ করা হয় তাদের জন্য। অর্থাৎ বাথ পার্টির সদস্যরা আইএসের হয়ে বাগদাদে মার্কিন মদদপুষ্ট শিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সব সময় যুদ্ধ করবে। সংঘাত জীবিত থাকবে আর মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রবেশের পথ প্রশস্ত থাকবে ইরাকে।

ওই সময় (২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে) টাইমস পাকিস্তানের ব্যুরো চিফ সৈয়দ সালিম শেহজাদকে পাকিস্তানের একটি প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ডাবল গেম’ বা দ্বৈত খেলা খেলছে যাতে ধর্মীয় আগ্রাসনগুলোকে আরো বিস্তৃত করা যায়।

জারকাওয়িকে আর বিন লাদেনকে সহযোগিতার মাধ্যমেই ধর্মীয় চরমপন্থাগুলোকে বিস্তৃত করার রাস্তা প্রশস্ত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু শেষ অব্দি লাদেনকে বাগে আনতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

ওই বছরের নভেম্বরে ইউএস জয়েন্ট স্পেশাল অপারেশন ইউনিভার্সিটি (জেএসওইইউ) এবং স্ট্রাটেজিক স্টাডিস ডিপার্টমেন্ট এক গবেষণায় ‘রেড অ্যাগেইনেস্ট রেড’ বা ‘শত্রুর বিপরীতে শত্রু’ তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করে। -পরিবর্তন
১০ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে