সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬, ০৬:৩৭:৫৮

নর্থ সাউথের গ্রন্থাগারে জঙ্গিবাদী বই

নর্থ সাউথের গ্রন্থাগারে জঙ্গিবাদী বই

সিয়াম সারোয়ার জামিল : জঙ্গি হামলার ঘটনায় আলোচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথের গ্রন্থাগারে জঙ্গিবাদি বই পাওয়া গেছে।  ইউজিসির একটি তদন্ত দল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার পরিদর্শন করতে গেলে নিষিদ্ধ জঙ্গি তৎপরতামূলক হিযবুত তাহরিরের বই গ্রন্থাগারে পায়।

এ বই গত বছরের ১৩ আগস্ট সর্বশেষ ইস্যু করা হয়। ইউজিসির একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য মিলেছে। তবে এসব বই পাওয়া গেলেও কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।  এ নিয়ে কথাও বলতে চাচ্ছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রন্থাগারে এ ধরনের বই রাখা বেসরকারি আইনের ৬ (১০) ধারার লঙ্ঘন।  স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থী বিবেচিত হওয়া গ্রন্থাগারের সংরক্ষিত নিষিদ্ধ সব বই পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে ইউজিসি।

প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয় নর্থ সাউথ ভার্র্সিটি কর্তৃপক্ষকে জঙ্গিবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী বইগুলো পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা পালন করেছে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

ইউজিসির দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা।  অপর সদস্য ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উপপরিচালক জেসমিন পারভীন।

গত ১১ অক্টোবর এ তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়। তদন্তকালে ইউজিসির তদন্ত দল এনএসইউর লাইব্রেরিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরিরের বই পেয়েছে।

এ প্রতিবেদকের অনুসন্ধানেও বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘বেশ কয়েক মাস আগে টানা কয়েকদিনই লাইব্রেরিতে হিজবুত তাহরিরের বইগুলো দেখেছি।  বইগুলো কে পাঠ করে জানি না, কিন্তু বইয়ের সংখ্যা বাড়ে কমে।

এ বিষয়ে কথা বইতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রন্থাগারিক ড মোস্তাফিজুর রহমান এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।  

অন্য এক লাইব্রেরি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাইব্রেরির হিজবুত তাহরিরের বইয়ের প্যাকেট নিয়মিতই আসে। প্যাকেটের বাইরে প্রেরকের কোনো ঠিকানা লেখা থাকে না।  তবে এসব বই কার জন্য সেটা তিনি জানেন না।

সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম মুঠোফোনে বলেন, তিনি জঙ্গিবাদের বই সম্পর্কে ওয়াকিফহাল নন।  ভালোভাবে জেনে তিনি কথা বলবেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল আহমেদের সঙ্গে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, তিনি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত নন।  উপাচার্য আতিকুল ইসলামও কথা বলতে রাজি হননি।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের আরো অভিযোগ আছে।  নতুন অনেক অভিযোগ আসছে।  আমরা সব বিষয়ই পর্যবেক্ষণে রেখেছে।  নির্দেশনা পালন না করলে সবার এগেনস্টেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
-পূর্বপশ্চিম
১১ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে