শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬, ০৭:৪২:২৭

২০০৭ সালের শেখ হাসিনার সেই চিঠি

২০০৭ সালের শেখ হাসিনার সেই চিঠি

নিউজ ডেস্ক : ২০০৭ সালের ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে আজকের এ দিনে (১৬ জুলাই) গ্রেফতার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি কারাগারে প্রায় ১১ মাস আটক ছিলেন।  জাতীয় সংসদ ভবনের চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে শেখ হাসিনা মুক্তি পান।  সময়টা ২০০৮ সালের ১১ জুন।

তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জাতীয় রাজনীতিতে মাইনাস ফর্মুলার অংশ হিসেবেই সেদিন  গ্রেফতার করা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে।  

দীর্ঘ ১১ মাস কারাগারে অভ্যন্তরীণ থাকাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা।  তখন বিভিন্ন মহল থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি ওঠে।

বিভিন্ন মহলের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার আগে দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকদের উদ্দেশ্যে এক চিঠিতে তার সংগ্রামের কথা বলেন।  বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এবং অন্যায়ের কাছে মাথানত না করার।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতার দিবস উপলক্ষে  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রধানমন্ত্রীর সেই হাতে লেখা চিঠিটি শেয়ার করেছেন।  

সেখানে আজকের প্রধানমন্ত্রী তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা লিখেছিলেন :

প্রিয় দেশবাসী,
আমার সালাম নেবেন। আমাকে সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় জানি না। আমি আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই সারাজীবন সংগ্রাম করেছি। জীবনে কোনও অন্যায় করিনি। তারপরও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও আপনারা দেশবাসীর ওপর আমার ভরসা।

আমার প্রিয় দেশবাসী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে আবেদন কখনও মনোবল হারাবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মাথা নত করবেন না। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সঙ্গে, আমৃত্যু থাকব।আমার ভাগ্যে যা-ই ঘটুক না কেন আপনারা বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান। জয় জনগণের হবেই।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বই। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবই।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

শেখ হাসিনা
১৬ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে