ঢাকা : রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অনুমতি ছাড়াই চলছিল বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, এজন্য ক্যাফেটির মালিকের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ১ জুলাই রাজধানীর কূটনীতিক পাড়ার ওই ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হওয়ার পর আবাসিক এলাকা গুলশানের অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
রোববার সচিবালয়ে আসাসিক প্লটে ও ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে ও উচ্ছেদে গৃহীত কার্যক্রম অগ্রগতি নিয়ে এক বৈঠকে মন্ত্রী মোশাররফ বলেন, হলি আর্টিজান অবৈধভাবে এবং কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া রেস্টুরেন্ট চালু রেখেছিল। সেখানে একসঙ্গে এত বিদেশিকে হত্যা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশে এই প্রথম।
‘অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য, তবে পরবর্তীকালে মানবিক বিষয় বিশেষ করে বিদেশিরা থাকে এসব বিবেচনা করে ‘গো স্লো’ করে কাজ করছিলাম। কাজ চলছে, কাজ বন্ধ হয়নি’, বলেন মন্ত্রী।
অনুমতি না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনার জন্য হলি আর্টিজানের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজানের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
সাংবাদিকরা পুনরায় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘যাব, নিশ্চয়ই যাব।
গুলশান ২ নম্বর সেকশনের ৭৯ নম্বর সড়কে ১০ কাঠার প্লটের উপর দোতলা ভবনে গড়ে ওঠা হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয় ছিল।
লেকের ধারের এ ক্যাফের খোলা লন ছিল। সেখানে বিদেশি অনেকে চাদর বিছিয়ে রোদ পোহাতেন, শিশুদের খেলার পর্যাপ্ত জায়গাও ছিল।
জনপ্রিয়তা বাড়ায় মাসখানেক আগে এ রেস্টুরেন্টে যোগ করা হয় আইসক্রিম বিক্রির পৃথক স্টল। তারও আগে মূল ফটকের ঠিক পাশেই বসানো হয় পিজা কর্নার।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের কূটনীতিক পাড়ায় হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে।
সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডে প্রাণ হারান ডিবির এসি রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খান।
পরদিন ২ জুলাই শনিবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করে। ৬ জঙ্গির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
১৭ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম