ঢাকা : রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় মো. মেহেরবান আলী (২৯) নামে এক প্রকৌশলীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কলাবাগান থানা পুলিশ স্কয়ার হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে।কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
রোববার বিকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত মেহেরবান আলী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার পিয়ানিজপাড়া গ্রামের মৃত রুস্তুম আলী ও মেহেরুন নেছার ছেলে।সে রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যবসা করতেন।
নিহতের ভাই মাহতাব আলী জানান, ঈদের দুই আগে মেহেরবান আলী বাড়ী থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর থেকে কোন খোঁজখবর না পাওয়ায় রোববার সকালে তিনি ভাইয়ের খোঁজে কলাবাগানের বাসায় এসে দেখতে পান শোয়ে আছেন, ঘুমন্ত ভেবে তিনি বাইরে চলে যান। পরে বিকালে এসে একই অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বলা যাবে। আমার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, না অন্য তাকে হত্যা করেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। আমরা সেভাবে কাউকে সন্দেহও করতে পারছি না। তবে তিনি এখানে ব্যবসা করতেন, ব্যবসায়ী পার্টনারদের সাথে কোনো ধরনের সমস্যা ছিল কি না তাও বলতে পারছি না।
মৃত মেহেরবান আলীর স্ত্রী লালমনিরহাট সদরের কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি আক্তার বলেন, আমরা কোনো কিছুই বুঝতে পারছি না। তার কোনো শত্রু ছিল বলে কোনো দিন আমাদের সাথে শেয়ার করেননি।
কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকাল সোয়া পাঁচটার সময় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে মেহেরবান আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাম হাত মাথার উপর দিয়ে বাঁকা, ডান গালে লালচে দাগ ও ডান আঙ্গুল বাঁকা রয়েছে।
বিকাল সাড়ে তিনটার সময় মেরবান আলীকে স্কয়ার হাসপাতালে আহত অবস্থায় নিয়ে আসেন কিছু লোক। পরে স্কয়ার হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাতে পারেননি তারা।
মেহেরবান আলী বন্ধুদের সঙ্গে রাজধানীর কলাবাগান থানার লেক সার্কাস ৩৪/১ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় বসবাস করতেন।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ