সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬, ০৭:৪১:৫১

নিখোঁজের তালিকায় এবার তিন তরুণী

নিখোঁজের তালিকায় এবার তিন তরুণী

ঢাকা : পরিরারের লোকজনকে না জানিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার তালিকায় এবার যোগ হয়েছে তিন তরুণী।  পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই তিন তরুণী জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়েছে বলে সন্দেহ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জড়িত পাঁচ তরুণ দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।  ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে তারা জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেন এবং একপর্যায়ে আর্টিজানে আক্রমণ করে দেশি-বিদেশি ২০ জনকে হত্যা করেন।  এরপর জানা যায়, তাদের মত আরো অনেক তরুণ একই প্রক্রিয়ায় ঘর ছেড়েছে।

নিখোঁজ তরুণদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আকুতি জানানো হচ্ছে।  এ আহ্বানে পাত্তা দিচ্ছে না কেউ।

প্রথমে ১০ জনকে ফিরে আসার আহ্বানসম্বলিত বার্তা প্রচার হলেও এ তালিকা এখন বড় হচ্ছে।  সবশেষ যোগ হলো তিন তরুণী নাইমা আক্তার, রেজওয়ানা রোকন ও রামিতা রোকনের নাম।

নিখোঁজ বেশির ভাগ তরুণের মত তিন তরুণীর পরিবারও আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল এবং তারা উচ্চশিক্ষিতও।  তবে কারা এবং কোথায় এদের নিয়ে গেছে সে বিষয়ে অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তৎপর থাকলেও এখন পর্যন্ত নাম ছাড়া তরুণীদের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।  চার তরুণের মধ্যে একজনের বিষয়ে কিছুটা তথ্য পাওয়া গেছে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও তরুণদের পাশাপাশি তরুণীরা পালিয়ে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনে জড়াচ্ছে।  

যে তিন তরুণীর নাম জানা গেছে তাদের সবাই পাসপোর্টধারী।  তারা কোথায় পড়তেন, কী করতেন, কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কি-না, তাদের পরিবারের সদস্যদের অবস্থান বা অবস্থা কী- সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।  কোন এলাকায় থাকতেন সে বিষয়টিই প্রকাশ করেছে বাহিনীটি।

নিখোঁজদের তিন তরুণীই থাকতেন রাজধানীর রামপুরা এলাকায়।  এদের মধ্যে নাইমা আক্তারের পাসপোর্ট নম্বর বিসি ০০০৬৯৩৭।  রেজওয়ানা রোকনের পাসপোর্ট নম্বর ০০৩৫১৯৮।  রামিতা রোকনের পাসপোর্ট নম্বর: বিসি ০০৪৫৩৩৯।

রেজওয়ানা ও রামিতার নামের মধ্যে মিল থাকলেও তারা স্বজন কি-না তাও জানাতে পারেননি রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। নিখোঁজদের বিষয়ে থানায় কেউ কিছু জানায়নি বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।

তিন তরুণীর সঙ্গে যে চার তরুণকেও ফিরে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে।  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে জানা গেছে, এদের একজন সেজান রউফ ওরফে অর্ক ওরফে মরক্কো থাকতেন রাজধানীর গুলশানে। তার পাসপোর্ট নম্বর: ৪৭৬১৪৫৯৯২।

সেজানের প্রায় সমবয়সী রামপুরার বাসিন্দা সাদ কায়েস।  তিনি থাকতেন রামপুরায়।  তার পাসপোর্ট নম্বর: বিএফ ০৪৮৬৬৪২।

রামপুরার বাসিন্দা চিকিৎসক রোকনুদ্দীন খন্দকারের নামও আছে নিখোঁজদের তালিকায়।  তার পাসপোর্ট নম্বর: এএফ ১০১৩০৮৮)।

অন্যজন হলেন বনানীর তাওসীফ হোসেন (পাসপোর্ট নম্বর- বিই ০৩৫২৭৬১ এবং ডব্লিউ ০৫৫৯২২৭)।

গুলশান হামলার পর গণমাধ্যমে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হলেও নিখোঁজ ১০ তরুণের কেউ ফিরে আসেননি।  তরুণরা হলেন ঢাকার ইব্রাহীম হাসান খান, আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম, ঢাকার তেজগাঁওয়ের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান, বাড্ডার জুনায়েদ খান, ধানমন্ডির জুবায়েদুর রহিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নজিবুল্লাহ আনসারী, সিলেটের তামিম আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি ও জুন্নুন শিকদার এবং লক্ষ্মীপুরের এটিএম তাজউদ্দিন।  
১৮ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে