রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬, ০৩:০১:৫৯

বৈঠকে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে আশরাফ-ওবায়দুল, শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ

বৈঠকে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে আশরাফ-ওবায়দুল, শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ

নিউজ ডেস্ক : গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের দিবস পালন উপলক্ষ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। এসময় ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে কয়েকজন অবস্থান নিয়ে কথা বলার জন্য উদ্যত হলে শেষ পর্যন্ত দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে বিষয়টির সুরাহা হয়।

এই ঘটনা ঘটে শনিবার রাতে গণভবনে এক বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্য ও শোক প্রস্তাব পাঠ করার পর দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে যেসব কর্মসূচির কথা উল্লেখ আছে তা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার প্রসঙ্গ তোলেন।

দলীয় ফোরামে আশরাফ বলেন, দলের গঠনতন্ত্রে এবং ঘোষণাপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে কোন কোন দিবস পালন করা হবে। এর বাইরেও আমরা কিছু দিবস পালন করি। কিন্তু এ দিবসগুলো বৈঠকের এজেন্ডায় থাকতে পারে না। এসব দিবসের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনাও হতে পারে। গঠনতন্ত্রের বাইরে কোনো দিবস কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের এজেন্ডায় আসতে পারে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২১ আগস্টকে আমরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা বলবো। শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা দিবস বললে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের কথা মনে পড়ে যায়। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও দপ্তর থেকে সরবরাহ করা ফাইলে এজেন্ডা হিসেবে ছিল।

সৈয়দ আশরাফ আরো বলেন, কিছু দিবস আছে যেগুলো সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো পালন করে। এ বিষয়গুলো দপ্তর সম্পাদককে আরো গভীরভাবে দেখতে হবে।

দলের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দিবসগুলো আমরা প্রতি বছর এভাবেই পালন করে আসছি।

এরপর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম বক্তব্য দেয়ার সুযোগ চাইলে বৈঠকের সভাপতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাদের বসিয়ে দেন।

আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু তার বক্তব্যে বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এক।

উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, গঠনতন্ত্রে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই হবে। গঠনতন্ত্রের বাইরের দিবসগুলো বৈঠকের এজেন্ডায় আনার দরকার নেই। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আর গ্রেনেড হামলা এক নয়।

দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের রই বৈঠকে নীরবতা নেমে আসে। সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে অন্যদের মতানৈক্যর বিষয়টিও এভাবেই দলীয় নেত্রীর হস্তক্ষেপে সমাধান হয়ে যায়।

২৪ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে