বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬, ০৭:৩৬:৩৬

কলঙ্কিত মুখগুলোকেও আদালতের প্রাঙ্গণে টেনে নেয়া যাবে : রনি

কলঙ্কিত মুখগুলোকেও আদালতের প্রাঙ্গণে টেনে নেয়া যাবে : রনি

নিউজ ডেস্ক : সাংবাদিক মারধরের মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা চক্রবর্তী এমপি রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ২০ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এ নিয়ে আজ গোলাম মাওলা রনি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাস তিনি লিখেছেন- ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ আমার বিরুদ্ধে উপরোক্ত মামলার চার্জ গঠন হলো-
বাদী পক্ষকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা সম্পূর্ণ আইনগতভাবে এক নাগারে ৪/৫ দিন আমার পেছনে সার্বক্ষণিক ক্যামেরা তাক করে রেখেছিলো এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমার অফিসে ঢুকেছিলো এবং বেআইনিভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলো।

অন্যদিকে আমি যে নির্দোষ তা প্রমাণের জন্য আমাকে ঘটনার পেছনের নেপথ্য নায়ক, ঐদিনের আমার অফিসের ভিডিও ফুটেজ, কথোপকথন, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির প্রমাণপত্র, একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেট এবং তাদের ভাড়াটিয়া লোকজনের কারসাজির দলিলপত্র আদালতে দাখিল করতে হবে।
এটি একটি সিআর মামলা। ফলে মামলার স্বার্থে যেকোনো জাতীয় বা ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয় এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।  শেয়ারবাজার লুটপাট নিয়ে ইব্রাহিম খালিদ কমিশনের রিপোর্ট এবং সেই কেলেঙ্কারির হোতাদেরকেও আদালতে হাজির করা যাবে ইনশাল্লাহ।

আশা করি, মামলাটি কেবল সাংবাদিক পেটানোর ঘটনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না- এটির মাধ্যমে একটি জাতীয় কেলেঙ্কারির নথিসমূহ, সাক্ষীসাবুত এবং ঘটনার পেছনের কলংকিত মুখগুলোকেও আদালতের প্রাঙ্গণে টেনে নেয়া যাবে।

গত তিনটি বছর ধরে প্রবল বিশ্বাস এবং আস্থা নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর সাহায্য চাচ্ছি এবং দেশবাসীর দোয়া কামনা করছি।
 
এদিকে আজ আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন রনি।  আদালত তা নাকচ করে দেন।
 
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর তোপখানা রোডে রনির অফিসে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাংবাদিক ইমতিয়াজ সনি ও ক্যামেরাপারসন মহসিন মুকুল।  গোলাম মাওলা রনি তাদের মারধর করে আটকে রাখেন।
 
এ ঘটনায় এমপি রনির বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন টেলিভিশন চ্যানেলটির সহকারী ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী।
 
এ মামলায় রনি আত্মসমর্পণ করলে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।  ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে জামিন পান তিনি।
 
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলার কারণে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হলে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।
 
এরই মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর ২০১৪ সালের ২৬ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রনির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২৮ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে