স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৪ সাল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুব একটা সুখকর সময় ছিল না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের ধবল ধোলাই হওয়ায় পর ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ ও বিশ্ব টি-টুয়েন্টির আসরে ভরাডুবির পর দলের উপর সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে।
সেই সাথে দলের নিয়মিত সদস্য সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা দলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। খর্বশক্তির ভারতের কাছেও লজ্জাজনক ভাবে হারতে হয়েছে মুশফিকের বাংলাদেশকে।
বাধ্য হয়ে ক্রিকেট বোর্ড ওয়ানডে ও টি-টিয়েন্টি দলে অধিনায়কত্বের ভার মাশরাফি বিন মুর্তজার কাঁধে তুলে দেন। এরপর থেকে বদলে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট।
মাশরাফির অধিনায়কত্বের পরশ পাথর যেন মুহূর্তেই দলের দৃশ্যপট বদলে দেয়। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের পর বিশ্বকাপের অবিশ্বাস্য সাফল্য বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসের শিখরে পৌঁছে দেয়।
দলকে একই সুতোয় গেঁথে একের পর এক মহাকাব্য রচনায় নামেন অধিনায়ক মাশরাফি। ঘরের মাঠে ১৬ বছর পর পাকিস্তানকে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা।
শক্তিশালী ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মত সিরিজ জয় করে নেয় মাশরাফি অ্যান্ড কোং। বিশ্ব ক্রিকেটে তখন বাংলাদেশের জয় জয়কার।
কিন্তু স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে দক্ষিন আফ্রিকার মত পরাশক্তি দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়েও সিরিজ জয় করে মাশরাফিরা।
সেখানেই থামলেন না বাংলাদেশ বিস্ময় মাশরাফি। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের আনাড়ি দলের তকমা কাটিয়ে উঠে ঘরের মাঠে টি-টুয়েন্টির এশিয়া কাপের ফাইনালে নিয়ে যান বাংলাদেশকে।
খুব অল্প সময়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তন আনেন তিনি। মাঠে ও মাঠের বাইরে তৈরি করেছে সত্যিকারের ক্রিকেট সংস্কৃতি।
তাই যথার্থ ভাবেই ৯২’র বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক পাকিস্তানি পেসার আকিব জাভেদ মাশরাফিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কান্ডারি মনে করেন। পাকিস্তান ক্রিকেটে যেমনটা করেছিলেন ইমরান খান ও ভারতে সৌরভ গাঙ্গুলি।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির সাথে এক আলাপচারিতায় মাশরাফিতে মুগ্ধ আকিব বলেন, ‘মাশরাফি বাংলাদেশের ক্রিকেটে পরিবর্তন এনেছে। তার অধিনে বাংলাদেশের পারফর্মেন্সে আমুল পরিবর্তন এসেছে। শুরুর দিকে তাদের নিজ নিজ দলে যেমনটা করেছিলেন ইমরান খান, সৌরভ গাঙ্গুলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। মাশরাফির তাদের মত ব্যক্তিত্ব হওয়ার যোগ্যতা রাখে।’ -ক্রিকফেনজি
৯ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস