আরিফুর রাজু: ‘‘ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজিব, আপনি লাথি মেরেছেন লাল সবুজের পতাকায়, কোটি শিশুর স্বপ্নে, যারা বড় হয়ে আপনার মতো হতে চাইতো৷''
হ্যা। এটি একটি প্রতিবাদ। হোক না সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে। তার পরও এটি একটি প্রতিবাদ। আর এ প্রতিবাদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নির্যাতিত শাষকের বিরুদ্ধে করছেন সুমন নাকে এক প্রতিবাদী যুবক।
প্রশ্ন বিবেকবান সমাজের কাজে, কি দোষ করেছিল জাতীয় দলের পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীবের বাসায় কাজ করা ১১ বছরের ছোট্ট হ্যাপীর? এ বয়সে একটু আধটুকু ভুল তো হতেই পারে। তাই বলে সামান্য সুজিতে হলুদ দেয়ার অপরাধে গায়ে নরপশুর মতো হামলা? শুধুই লেখক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় বলেতে চাই ‘ছি’।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের এ পেসার র্দীঘ দিন ধরেই মাঠের বাহিরে আছেন ইনজুরির কারণে। এখানে সেটি আলোচনার বিষয় না। আলোচনার বিষয় না তিনি কত উইকেট পেয়েছেন কত ম্যাচ খেলে বা তার খেলুড়ে জীবনে সবচেয়ে হ্যাপি মোমেন্ট কোনটি। আলোচনার বিষয় কোন আইনের বলে শাহাদাত তার বাসায় কাজ করা ছোট্ট হ্যাপীর গায়ে হাত তুলেছে?
ক্রিকেটের বাহিরে যে শাহাদাত হোসেনের একটি অন্ধকার জগৎ রয়েছে জাতি সেটি দেখলো তার উদ্ভবব একটি ঠুনকো কাজের মধ্য দিয়ে। গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যমনি হয়ে আছে তার নির্যাতনের বিষয়টি। শাহাদাত ওই কাজের মেয়েকে প্রায়ই মারতো বলে জানান শিশুটি। উদ্ধারের পর শিুশুটি বলেন, ‘শাহাদাত ও তার স্ত্রী প্রায় সময়ই তাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। ছোট ছোট ভুলের জন্য গায়ে হাত তুলতো। এমনকি লাঠি দিয়ে পেটাতে। আর এ কাজে বিশেষ সহযোগী হতো তারই স্ত্রী। তাই শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে কাউকে না জানিয়ে বাসা তেকে চলে যায় হ্যাপী।
উদ্ধারের পর হ্যাপির শরীরে আগাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। মারধরের ফলে তার চোখ মুখ ফুলে একাকার হয়ে গেয়েছিল। তাই রাতেই পুলিশ হ্যাপীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেলে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
হয়তো পুলিশের বেড়াজ্বালে ধরে পড়বেন ফেরারী আসমী হয়ে পালিয়ে বেড়ানো শাহাদাত ও তার স্ত্রী। আইনের আয়ত্তায় এনে তাকে বিচারের কাঠগড়ায়ও দাঁড় করানো হবে তাদের। কিন্তু বিবেকহীন মানুষরা যদি কখনই নিজেদেরকে নিজের বিবেকের কাঠগড়ায় না দাঁড় করানো যায় তাহলে এর চাইতে আরো ভয়াবহ ফল দেখবে এ জাতি।
৯ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর/রাজু